দেশজুড়ে প্রতিবাদের পারদ চড়াতে আদানি লিমিটেড এবং রিলায়ান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সংস্থাদুটির সমস্ত পণ্যদ্রব্য বয়কট করার ঘোষণা করলেন কৃষক সংগঠমগুলির শীর্ষনেতারা। এই তালিকায় বাদ যাচ্ছে না দেশজুড়ে বহুল ব্যবহৃত জিও সিমকার্ড। সিংঘু সীমান্তে কৃষক নেতারা সাংবাদিকদের জানান, ছ’ দফা বৈঠকে আপত্তি সত্ত্বেও সরকার কৃষি আইন প্রত্যাহার করেনি, তাই আন্দোলন আরও ব্যাপকতা পাবে। ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর এবং দিল্লি-আগ্রা রাজপথ অবরোধ করা হবে এবং রাস্তায় কোনও টোল প্লাজায় পয়সা দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে আদানি এবং রিলায়ান্স সংস্থার সমস্ত পণ্যদ্রব্য বয়কট করার ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, কৃষকদের সমস্যার দিকগুলো ভেবে দেখা হলেও কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না। এমএসপি সংক্রান্ত দাবিতে লিখিত আশ্বাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনে এই আংশিক বদল নিয়ে খুশি নন আন্দোলনরত কৃষকরা। গোটা আইনই প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় তাঁরা। কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিও পরিষেবা বয়কটের ডাক ওঠে। তৈরি হয়ে যায় নানা মিম। অনেকেই বলতে থাকেন, করোনা কালেও এই বিজেপি সরকারের জন্যই পকেট ভারি হয়েছে আম্বানি-আদানিদের। অথচ, কৃষকদের দাবি মানতেই সমস্যা কেন্দ্রের। অনেকে আবার বলেন, কৃষকদের সমর্থন জানাতে তাঁরাও জিও সিমের পিছনে আর অর্থ খরচ করবেন না।