দেশ

দেশ জুড়ে কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে চলছে ভারত বনধ, মিশ্র প্রভাব একাধিক রাজ্যে

এক বছর হয়ে গেল কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন পাস হয়েছে। ২০২০ সালের এই ২৭ সেপ্টেম্বর তারিখেই রাষ্ট্রপতি সিলমোহর দেন। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে চলেছে এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। বছর ঘুরলেও কোনও সমাধানসূত্র আসেনি। আজ ফের কৃষি আইন বাতিলের দাবিকে সামনে রেখে দেশজুড়ে ভারত বনধ পালন করছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বন্‌ধের প্রভাব কিছু রাজ্যে পড়লেও মোটের উপর স্বাভাবিকই রয়েছে জনজীবন। বন্‌ধের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও কেরলে। এই বনধকে কংগ্রেস ও বামদলগুলি সমর্থন করেছে । যদিও এই বনধে সমর্থন নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, ইস্যুকে সমর্থন করলেও, বনধকে কোনও ভাবেই সমর্থন করবেন না তিনি। মমতা গতকাল প্রচার সভা থেকে জানান, কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেও বাংলায় বনধ বিরোধী যে অবস্থান তাঁর সরকার নিয়েছে, তাতে অনড় থাকবেন তিনি। রবিবার ভবানীপুরে ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বনধ সমর্থন করি না। তবে ইস্যুকে সমর্থন করছি।’ তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। আমরা তাদের সমর্থন করছি। তিনটি বিল প্রত্যাহার করতে বলছি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বনধ সমর্থন করি না। কোনও বনধ করি না। পার্টির কেউ মারা গেলেও না। কিন্তু ইস্যুটাকে সমর্থন করি।’এদিন ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি জারি থাকবে বনধ। বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকা বনধকে সমর্থন করছে বাম-‌কংগ্রেস। এদিন দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানা বন্ধ করেছে বনধ সমর্থনকারীরা। অমৃতসরে ভোর ৫টা থেকে পথে আন্দোলনকারীরা। সতর্ক প্রশাসন। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে প্রস্তুত পুলিস। অন্ধ্রপ্রদেশে Bharat Bandh পালন করছে বাম দলগুলো। কেরলেও একই ছবি। তিরুবন্তপুরমে একসঙ্গে বনধ পালন করছে শাসক এলডিএফ এবং বিরোধী ইউডিএফ। কৃষি আইনের বিরোধিতায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভ। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের শাহাবাদে দিল্লি-অমৃতসর জাতীয় সড়ক অবরোধ। গাজিপুর সীমানাতেও একই ছবি। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানান, “ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের কোনও অসুবিধা করা হচ্চে না। আমরা কেবল দোকানদাদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছতে চাই যে, বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখুন।”