এক দেশে এক ভোট’ নীতি কার্যকর করতে অর্থাৎ সারা দেশে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করতে আরও এক কদম পা বাড়াল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক দেশ, এক ভোট বিলে অনুমোদন দিয়েছে। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই তা পেশ হতে পারে। এই বিলের বিরোধিতায় আগের মতোই সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে তিনি এদিন এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী, অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে ঘাসফুল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এই স্বেচ্ছাচারের বিরোধিতায় লড়াই জারি থাকবে। সংসদে তৃণমূল সাংসদরা এর বিরোধিতা করবেন। দিল্লির এই ডিক্টেটরশিপ পদক্ষেপের কাছে মাথা নোয়াবে না বাংলা। বিরোধী দলগুলি ও এক্সপার্টরা এর ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্র, অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বারবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলো। অভিযোগ, এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে চাওয়ার আড়ালে সেরকমই কোনও মনোভাব রয়েছে বিজেপি সরকারের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে আগে জানিয়েছিলেন, দেশে আর ভোটই হবে না। কেউ ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। তৈরি হবে স্বৈরাচারী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকবে না। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও।