এরাজ্যে ভোট পরবর্তী পর্বে বিদ্বেষমূলক এবং উস্কানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে।সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করায় এবার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন ঋজু দত্ত নামের এক ব্যক্তি। উল্টোডাঙা থানায় এফআইআর দায়ের করলেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। মূলত কঙ্গনার মতো একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, যার প্রভাব সাধারণ মানুষের মধ্যেও পড়বে। বিভ্রান্তি ছড়াবে তাঁর এই ধরনের মন্তব্য। সেই কারণে এই এফআইআর দায়ের করেছেন ঋজু, জানিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময় নিজের লাগামছাড়া মন্তব্যের জন্য সমস্যায় পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। তারপরও তিনি থামেননি। বাংলায় বিজেপির হারের পর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মত প্রকাশ করনে। এবং সেখানেই তিনি বাংলাকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি আরও লেখেন যে, বাংলায় তৃণমূল ফের ক্ষমতায় আসার পর হিংসা বাড়ছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করতে তিনি ছাড়েননি। এই ধরণের মন্তব্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে জনমানসে, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কঙ্গনা যে তীব্র ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থক, সে কথা দেশে কারও অজানা নয়। তাঁর রাজনৈতিক মতামত সব সময়েই দেশের এই শাসক দলের গা ঘেঁষে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও কঙ্গনার মন্তব্যে প্রথম দিকে সেই পক্ষপাতিত্বের আভাস ছিল স্পষ্ট। সম্প্রতি তিনি ট্যুইট করে লিখেছিলেন,”বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব চেয়ে বড় শক্তি। যা ট্রেন্ড দেখছি, সেখানে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেই। তথ্য অনুযায়ী, বাংলার মুসলিমরা সব চেয়ে গরিব আর বঞ্চিত। ভালো, আর একটা কাশ্মীর হতে চলেছে ।” এরপরই হিংসার ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।