নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বিপরীতে তেলের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৷ বেআইনিভাবে চোরাই তেল মজুত করে রাখাছিল বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের ছড়ায়। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অনেকে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় ফের একবার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এমনকি পুলিশের নজরদারির অভাব এবং গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা থেকে খোদ শাসক দলের নেতারা ৷ দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে না-আসলে গোটা এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্রের অফিসার ডি রায় বলেন, “আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি মজুত করে রাখা তেলের ড্রামে আগুন জ্বলছে। সেইমতো ফোম চার্জ করা হয়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ৷ কেন তেল মজুত ছিল তা জানা নেই। তবে তদন্ত করে দেখা হবে।” জানা গিয়েছে, বুধবার মাঝরাত নাগাদ আইওসি’র একদম মূল গেটের বিপরীতে মজুত তেল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, ঝামেলার জেরেই প্রতিশোধ নিতে ওই গুদামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি কেউই। স্থানীয়দের মতে, আগুন কীভাবে লেগেছে, তা জানা যায়নি। এদিকে, গুদামে সারি সারিভাবে সাজিয়ে রাখা তেলের ড্রামে মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্কে পালাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঝাপিয়ে পরে স্থানীয় মানুষরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে আইওসি কর্তৃপক্ষও। প্রথমে আগুন জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করা হলে বিফলে যায়। পরে আইওসি থেকে ফোম দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনজেপি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও দমকল। শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্র থেকে দুটি ও ফুলবাড়ি দমকল কেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে 2018 সালে একই জায়গায় বেআইনিভাবে চোরাই তেল মজুত করে রাখায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল।
