কলকাতায় সোমবার থেকে প্রথম শুরু হল অক্সিজেন পার্লার । করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট দূর করতেই উক্তীর্ণ স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পৌরনিগমের উদ্যোগে এবং এক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এই অক্সিজেন পার্লার আজ থেকেই শুরু হল কলকাতায় । প্রাথমিকভাবে ২৫টি শয্যা নিয়ে এই অক্সিজেন পার্লার শুরু করা হয়েছে । যদিও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আরও ৭৫টি শয্যা নিয়ে মোট ১০০ শয্যার অক্সিজেন পার্লার তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা সরাসরি এসে এখানে ভর্তি করা যাবে । মৃদু বা মাঝারি শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত রোগীদের এখানে রেখে অক্সিজেন দেওয়া হবে । তবে গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে । এদিন রাজ্যের বিদায়ী পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অক্সিজেন পার্লারটি পরিদর্শন করার পর জানিয়েছেন, এখানে ১৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন থাকছে, যার সাহায্যে রোগীরা সরাসরি বাতাস থেকে অক্সিজেন দেওয়া যাবে ৷ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর থাকলে যেহেতু এয়ারকন্ডিশনার মেশিন ব্যবহার করা যায় না তাই খোলামেলা পরিবেশে জালনার ধারে এই মেশিনগুলো রাখা হবে। এছাড়াও এখানে অন্যান্য শয্যাগুলিতে পাইপলাইনের সাহায্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে । পাইপলাইনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । আগামী দু’দিনের মধ্যে সে কাজ শেষ হয়ে যাবে । তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তীতে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে এই ধরনের দ্বিতীয় অক্সিজেন পার্লার তৈরি করা হবে । এই অক্সিজেন পার্লারে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা রেখে অক্সিজেন দেওয়া হবে । যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাহলে এখান থেকেই সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হবে । শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এসএসকেএম ও বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে স্থানান্তরিত করা হবে । আবার যদি কোনও রোগীর শুধু অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে হাসপাতালের শয্যা দখল করে না রেখে আক্রান্ত রোগীদের এখানে নিয়ে আসা হবে । এখান থেকে অক্সিজেন দেওয়া হবে ৷ সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে । প্রাথমিকভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের এখানে রেখে অক্সিজেন ও চিকিৎসা করা হবে । এর জন্য রাজ্য সরকার ও কলকাতা পৌরনিগম নার্স সরবরাহ করবে । এছাড়া রাজ্য সরকার, কলকাতা পৌরনিগম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ডাক্তাররা এখানে চিকিৎসা করবেন রোগীদের । এই সেন্টারে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থা রয়েছে । রোগীর সঙ্গে তাঁর পরিবারের যে সদস্য থাকবেন তাঁর খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে ।