বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের প্রতিবাদে চলা আন্দোলন ঘিরে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায় বেরোনোর পর পরই শান্তিনিকেতনের শুরু হয়েছে পুলিসি তৎপরতা। বাসভবন থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে করা যাবে না কোনও আন্দোলন মঞ্চ। তার প্রেক্ষিতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে পুলিসের। মূলত উপাচার্যের নিরাপত্তায় কোনও খামতি যেন না থাকে তার জন্য পুলিস সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী হাইকোর্টে পিটিশন খারিজ করার সাথে সাথে রাজ্য সরকারের তরফে বাড়ানো হয় উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তা। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহ একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও চারজন কনস্টেবল। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ে আরও তিন কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে শান্তিনিকেতন পুলিসের তরফে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর তা কার্যকর করতে বিকেলে বোলপুরে উপাচার্যের বাড়ি পূর্বিতার সামনে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পূর্বিতার গেটে যে তালা ঝোলানো ছিল তা ভেঙে ফেলা হয়। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়ার শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে উপাচার্যকে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, উপাচার্যের বাসভবনের ৫০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারেন পড়ুয়ারা। তবে ক্যাম্পাস চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বা মাইকের মাধ্যমে আন্দোলনের প্রচারে বিধিনিষেধ আরোপ করে আদালত। আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর করতে শুক্রবার বিকেলে উপাচার্যের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায়, বোলপুরের মহকুমাশাসক অমর নাথ, শান্তিনিকেতন থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ পুলিশবাহিনী এসে উপাচার্যকে অবস্থান-বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের হাত থেকে মুক্ত করে। যদিও ওই বাহিনী আসার আগে থেকেই আদালতের নির্দেশ মেনে উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটার দূরত্বে বিক্ষোভ-মঞ্চ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।