দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আবহাওয়া দফতর। আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৷ জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ তবে আজ ও আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি । আজ ও আগামীকাল বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে । কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিং-সহ জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সর্বত্রই রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ৷ আগামীকাল থেকে উত্তরবঙ্গের এই জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত চলবে । বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুত্-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২৬ জুন শনিবার হিমালয়ের পাদদেশে থাকা পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ বিহার ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব উত্তরপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে । সেই সঙ্গেই মৌসুমী অক্ষরেখা পঞ্জাব থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে । যার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে রাজ্যে । এই দুয়ের প্রভাবেই রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ।
বর্ষার বৃষ্টিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে একাধিক নদীর জল। এই পরিস্থিতিতে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ২৬ তারিখ, শনিবার একটি বড় বানের কথা জানিয়ে সতর্ক করেছেন সকলকে। বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বড় বান আসতে চলেছে। সাগরে জলের উচ্চতা ৬ মিমি বাড়বে। জেলাশাসকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” বানের জেরে কোন কোন জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়ার আমতা, বাগনান, উদয়নারায়ণপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমানের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”