পাঁচদিন কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও বন দফতরের কর্মীদের নাগালের বাইরে কুলতলির লোকালয়ে প্রবেশ করা দক্ষিণরায় ৷ রবিবার রাতে কুলতলি বিভিন্ন জায়গায় বন দফতরের কর্মীরা খাঁচা পাতলেও, সেই ফাঁদে ধরা দেয়নি সে ৷ আজ সকালে কুলতলিতে পিয়ালী নদীর ধারে বাঘের নখের আঁচড়ের দাগ দেখা গেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বাঘের খোঁজ করতে ড্রোন উড়াল বন দফতর ৷ বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, কুলতলির শেখ পাড়া ও আদিবাসী পাড়ার আশেপাশেই রয়েছে ওই বাঘটি ৷ কিন্তু, রাতভর জেগেও খাঁচায় পোরা যায়নি তাকে ৷ তবে, এদিন বেলায় পিয়ালী নদীর তীরে বাঘটিকে একনজর দেখা গিয়েছিল ৷ লোকজনের হইচইয়ের আওয়াজে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সেটি ৷
যদিও বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, খাঁচার পরিধি ছোট করে আনা হচ্ছে ৷ গ্রামবাসীদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ বন দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছেন বনকর্মীরা ৷ জোড়া দু’টি খাঁচার পরিধি ছোট করা হয়েছে ৷ কারণ, খাঁচার আয়তন ছোট হলে সহজে ধরা পড়বে বাঘটি ৷ খাঁচার মধ্যে রাখা হয়েছে ছাগলও ৷ শুধু তাই নয়, বাড়ানো হয়েছে ট্রাঙ্কুলাইজারের পরিমাণ ৷ গোটা এলাকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি ৷ গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ যাঁরা বিপদসীমার মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে প্রশাসনের তরফে ৷
এই পরিস্থিতিতে বাঘ ধরা না পড়ায় রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন কুলতলির বাসিন্দারা ৷