রাশিয়ার হামলার ফলে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারের দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র ৷ নিজের ক্যাবিনেটের চার মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিরেন রিজিজু ও জেনারেল ভিকে সিংকে ইউক্রেনের চার প্রতিবেশী দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সোমবার সকালে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে খবর ৷ ইউক্রেনে বর্তমানে আটকে রয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয়, যাঁদের সিংহভাগই পড়ুয়া ৷ ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের মাত্রা ও দিন যত বাড়ছে, তত পিছিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়াদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া ৷ ইউক্রেনের আকাশসীমা এই মুহূর্তে বন্ধ থাকায় বিমান পাঠিয়ে সরাসরি সেখান থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে পারছে না ভারত সরকার ৷ বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের চার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়া সীমান্তকে ৷ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই চার দেশের সীমান্ত পেরিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে আসতে হবে আটকে পড়া ভারতীয়দের ৷ সেখান থেকে নিখরচায় বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে ৷ গত দু‘দিনে হাঙ্গেরি ও রোমানিয়া হয়ে প্রায় হাজার জন ভারতীয় পড়ুয়াকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে ৷ এই উদ্ধারকাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’ ৷
কিন্তু ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ৷ গাড়ি ভাড়া করে সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথে ইউক্রেন সেনার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ আকাশছোঁয়া ভাড়া চাইছেন গাড়ি চালকরা ৷ বোমা, গুলির লড়াইয়ের মধে মাইলের পর মাইল হেঁটেও সীমান্তবর্তী এই দেশগুলিতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ৷ কীভাবে সীমান্তে পৌঁছবেন তাই ভেবে পাচ্ছেন তা তাঁরা ৷ ভিডিও বার্তা ইউক্রেন থেকে পড়ুয়ারা বারবার কাতর বার্তা পাঠাচ্ছেন তাঁদের উদ্ধারের জন্য ৷ ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফেও দফায় দফায় গাইডলাইন প্রকাশ করা হচ্ছে আটকে থাকা পড়ুয়াদের জন্য ৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রের এই নয়া সিদ্ধান্ত গোটা উদ্ধারকাজ প্রক্রিয়াকে কতটা তরান্বিত করতে পারে সেটাই দেখার ৷সোমবার সকালে নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস ৷ সেখানে বলা হয়েছে, কিয়েভে কার্ফু শিথিল হয়েছে ৷ আটকে থাকা পড়ুয়ারা ট্রেনে করে দেশের পশ্চিম প্রান্তের দিকে যান ৷ ইউক্রেন রেলওয়ের তরফে বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে ৷