কলকাতা

গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়াখুন কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবার থেকে আটক পরিচারিকা

গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়াখুন কাণ্ডে আটক পরিচারিকা মিঠু হালদার। ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাইয়াপাড়ার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত মিঠু, সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র, টাকাপয়সা ও পেনড্রাইভ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সুবীরের বাড়িতে তাঁর মাকে দেখাশোনার কাজ করত মিঠু। তাঁর ভাই এবং ছেলেকেও আটক করা হয়। এ দিন ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাট এলাকা থেকে ওই মহিলাকে আটক করা হয়। অভিযুক্তকে আটক করার পর কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার হাতে তুলে দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, খুনের পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত। কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের তদন্তে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যান তদন্তকারীরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে চলে গিয়েছিল পুলিশ কুকুর। তার থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান হয়, সম্ভবত ট্রেনে করেই ফিরে গিয়েছে আততায়ীরা। সেই সূত্রেই এ দিন ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই অভিযুক্ত ওই মহিলা এবং তার ভাই ও ছেলেকে প্রথমে আটক করে জেরা করা হয়। পরে ওই মহিলাকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ধৃতদের সঙ্গে এই খুনের কী যোগ, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতেই থাকতেন সুবীরবাবুর পরিবার। সেই সময় ওই বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করত অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রে খবর, আটক মহিলার বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে ভাই ও ছেলের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামীকেই হাত পা বেঁধে খুনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখন তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।থচ সুবীর চাকির মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। তবে গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের মোবাইল ফোন তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। আততায়ীরা সুবীরের মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা। ঘটনার বড় মোড় ঘোরে গতকাল, মঙ্গলবার। পুলিশ কুকুর নিয়ে কাঁকুলিয়া রোডের যে বাড়িতে সুবীর ও রবীনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানে যান তদন্তকারীরা। বাড়ির আশপাশে পুলিশ কুকুর কিছুক্ষণ ঘোরার পর ছুটতে শুরু করে বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে। ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছুক্ষণ চক্কর কাটে স্নিফার ডগ। তারপর ফিরে আসে অভিশপ্ত বাড়িতে। কুকুরের গতিবিধি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনিরা ট্রেন ধরার জন্য বালিগঞ্জ স্টেশনে এসেছিল। এর পরেই সিসিটিভি খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।