আদালত সূত্রে খবর, গড়িয়াহাটের কাকুলিয়ায় খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। খুনের কারণ, অস্ত্র উদ্ধার ও ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য পুলিশি হেফাজতে আবেদন করা হয়। আলিপুর আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। আগামী ১৩ নভেম্বর ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য নানা তথ্য উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবারে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ভিকির দুই সঙ্গীর বাড়িতে এদিন অভিযান চালান তদন্তকারীরা। গড়িয়াহাটের কাকুঁলিয়া রোডের জোড়া খুন-কাণ্ডে ভিকি ও তার সঙ্গী ধরা পড়ার পর তারা জেরায় জানিয়েছে, খুনের পর এক বন্ধু-সম আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিল ভিকি। সুবীর চাকি ও তাঁর চালকের আঙুল থেকে লুঠ করা আঙটি জমা রেখেছিল আর পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল। বলেছিল, পরে টাকা দিয়ে গয়না নিয়ে যাবে বলেছিল সে। ভিকি ও তার সঙ্গী মোবাইল ব্যবহার করত না। কিন্তু অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ওই বন্ধুকে ফোন করেছিল ভিকি। তখনই মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ। মোবাইলের সূত্রেই জানা যায় ভিকি মুম্বইতে। সম্ভাব্য লোকেশন মেলে। তারপর মুম্বই রওনা দেন গোয়েন্দারা। মোবাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা লোকেশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বহুতলগুলিতে খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ভিকি।