আফগানিস্তানে কায়েম হয়েছে তালিবানি শাসন। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে ‘ছায়াযুদ্ধ’ আরও তীব্র করে তুলেছে পাকিস্তান। লাদাখে চিনও গতিবিধি বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে বায়ুসেনার হাত আরও মজবুত করে স্পেন থকে ৫৬টি মাঝারি পরিবহণ বিমান কেনার প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। স্পেনের বেসরকারি সংস্থা এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেসের থেকে বায়ুসেনার জন্য ৫৬টি সি-২৯৫ ট্রান্সপোর্ট বিমান কিনতে চলেছে ভারত। বুধবার এই ছাড়পত্র দিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। চুক্তির দু’বছরের মধ্যে ১৬টি বিমান কার্যক্ষম অবস্থায় হাতে পাবে দিল্লি। বাকি ৪০টি বিমান তৈরি হবে ভারতে। চুক্তির ১০ বছরের মধ্যে এই বিমানগুলি তৈরি করবে টাটা কনসর্টিয়াম। কোনও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এটাই প্রথম সেনার জন্য বিমান উৎপাদন বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিমানেই ভারতের নিজস্ব যুদ্ধোপযোগী বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম রাখার জায়গা থাকবে। পাঁচ থেকে ১০ দশ টন ভার বহনে সক্ষম সি-২৯৫ ট্রান্সপোর্ট বিমানগুলির পিছনে থাকছে র্যাম্প দরজা। এর সাহায্যে সেনা সরঞ্জাম এবং সেনাকর্মীদের দ্রুত গন্তব্যে নামানো সম্ভব হবে। ভারতের হাতে এখন অভ্র ট্রান্সপোর্ট বিমান রয়েছে। ৬০ বছর আগে সেগুলি বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে বিমানগুলি প্রায় অকেজো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধীরে ধীরে সেগুলিকে সি-২৯৫ ট্রান্সপোর্ট বিমান দিয়ে বদলি করা হবে। জানা গিয়েছে, ৫৬ টি বিমানের সবকটিকেই দেশিয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট থাকবে। একইসঙ্গে, চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে প্রতিপক্ষের গতিবিধির তথ্য পেতে দেশেই ৬টি AEWC নজরদারি বিমান তৈরির আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরকারই বিমানসংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র এয়ারবাস ৩১৯ বিমানগুলিতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে রাডার-সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে প্লেনগুলিকে নজরদারি বিমানে পরিণত করবে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।