করোনা আক্রান্ত হলে ৬ মাস পরে ভ্যাকসিন
কোভিশিল্ডের দুটি টিকা নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবার প্রস্তাব দিল সরকারি প্যানেল। ওই ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই ব্যবধান রয়েছে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের। তবে কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আর এই সুপারিশ এমন সময় আসছে, যখন সারা দেশে টিকার ঘাটতি চলছে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ভারতে টিকা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন। আর সদ্য ছাড়পত্র পেয়েছে স্পুটনিক ভি। এর মধ্যে কোভ্যাক্সিন এর দু’টি ডোজ দেওয়া হয় ৪–৬ সপ্তাহের মধ্যে। এর আগে বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ মেনে কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। যদিও কোভ্যাক্সিন এর দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়েনি। এবার কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২–১৬ সপ্তাহ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় টিকাকরণ দল।
এর আগে ২৮ দিনের পরিবর্তে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে কোভিশিল্ড দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। সেই মর্মে প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এবার সেই ব্যবধান ১২–১৬ সপ্তাহ করার সুপারিশ।
সরকারি প্যানেলের এই সুপারিশ মেনেই টিকাকরণ হবে বলে আশাবাদী চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এদিকে, সুস্থ হয়ে ওঠার অন্তত ১২–১৬ সপ্তাহ পর কোভিড আক্রান্তদের টিকা দেওয়ার যে প্রস্তাব টিকা নেওয়ার সময়সীমা বিষয়ক কেন্দ্র নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি দিল, তা পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড–১৯ (নেগভ্যাক)–এর কাছে। তারাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। নতুন এই প্রস্তাব নিয়ে এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, ‘কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের অন্তত ৬ মাস পর টিকা দেওয়া উচিত। তাই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে অ্যান্টিবডির প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। এখন কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার ১৪ দিন পর থেকেই টিকা নেওয়া যায়।’