কলকাতা পুজো

পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান, লাগবে না দমকল ও কর্পোরেশনের ফি, বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ কর মুকুব, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনার জেরে এবারে রেড রোডে হচ্ছে না দুর্গাপুজো কার্নিভ্যাল

জ্যোতির্ময় দত্ত, কলকাতাঃ কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহামারী আবহে পুজো করতে গিয়ে আর্থিক অনটনের মুখে পড়ছে কমিটিগুলি। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় অংকের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য। করোনা আবহে কীভাবে দুর্গাপুজো হবে সেই নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি এবারের দুর্গাপুজো নিয়ে কিছু নির্দেশাবলী ঘোষণা করলেন। তিনি এদিন ছকে দিলেন দুর্গোসবের গাইডলাইন, দরাজ হস্তে দান পুজো কমিটিগুলিকে। তিনি জানালেন, এবার করোনা আবহে দুর্গাপুজো করলে তা খোলামেলা মণ্ডপেই করার অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্রমক কিছু থাকলে খোলা হাওয়ায় তা কেটে যাবে বলেই জানান তিনি। মণ্ডপগুলিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার পথ আলাদা করতে হবে। মাস্ক পরে মণ্ডপে আসাটা বাধ্যতামূলক। তবে যাঁদের কাছে থাকবে না তাঁদের জন্য কিছু মাস্ক রাখতে হবে। মণ্ডপের হাফ কিলোমিটারের আগেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়াটা আবশ্যিক করতে হবে। যতটা সম্ভব, সেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। পাশাপাশি, সেচ্ছাসেবকদের ফেস শিল্ড দিতে পারলে ভালো হয়। অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার ক্ষেত্রে একসঙ্গে ভিড় না করে আলাদা আলাদা সময় করতে পারলে ভালো হয়। যাঁরা পুরস্কার দিতে আসেন, তাঁরা ১০ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে মণ্ডপে আসতে হবে। তাঁদের দুটির বেশি গাড়ি না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এবার মণ্ডপের পাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা চলবে না। এবার দমকল, কর্পোরেশন, পুরসভা বা পঞ্চায়েত কোনও ফি নেবে না। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়া হকারদেরকে এককালীন কিছু আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এত কিছু হলেও পুজো কার্নিভাল এবার করা সম্ভব হবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন।