স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামের উপর বলবৎ থাকা ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এবং বিরোধীদের দাবি নিয়ে গত বছর থেকেই চলছে চাপানউতোর। সরকারের অন্দরেও প্রবল চাপ এসেছে অর্থমন্ত্রক যাতে ওই জিএসটি মকুব করে। হাই প্রোফাইল মন্ত্রী নীতিন গাদকারি চিঠি লিখে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অনুরোধ করেছিলেন, জিএসটির বোঝা কমাতে। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, মানুষ চিকিৎসা করে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করে। মানুষের জীবন রক্ষা করার মৌলিক অধিকারের উপরও জিএসটি আরোপ থাকা অমানবিকতার নামান্তর। ওই চিঠির পরই দ্বিগুণ উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিরোধীরা। গত বছরের জুলাই মাসে গাদকারি ওই চিঠি দিলেও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। বলা হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে সুপারিশ করবে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তার আগে মন্ত্রিগোষ্ঠী বৈঠকে সিদ্ধাত নেবে। সরকারি সূত্রের খবর, মন্ত্রিগোষ্ঠী কাউন্সিলের কাছে সুপারিশ করবে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি সম্পূর্ণ মকুব যেন করা না হয়। অন্তত ৫ শতাংশ জিএসটি বলবৎ থাকবে। কমবেশি সব রাজ্যই এই সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছে। কারণ স্বাস্থ্য বিমায় প্রিমিয়াম থেকে আসা জিএসটি কেন্দ্র ও রাজ্যের আয়েরও একটি পন্থা। এই বিমার নথিভুক্তিকরণ ক্রবর্ধমান। তাই সরকারের উপর আর্থিক বোঝা বাড়বে যদি তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতএব স্থির হয়েছে ৫ শতাংশ জিএসটি যাতে বলবৎ থাকে। পরবর্তী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগেই এই সুপারিশ জমা দেওয়া হবে কাউন্সিলের কাছে। যদি এই সুপারিশ কাউন্সিল গ্রহণ করে তাহলে জুলাইয়ের পর থেকে কার্যকর করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
