কলকাতা

আগামী ৭ নভেম্বর থেকে গুটখা-পানমশলা সহ তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ বাংলায়, নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার

তামাক সেবন স্বাস্থ্যকর নয়! গুটখা, পানমশলা সহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে বড়বড় করে লেখা থাকা এই সতর্কবার্তা। কিন্তু এরপরেও কেউ মানে না এই সতর্কীকরণ। খোলা বাজারে ব্যাপক ভাবে বিক্রি হয় এই সমস্ত সামগ্রী। রমরমিয়ে বিক্রিও হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, গুটখা সহ তামাকজাত এই সমস্ত সামগ্রিগুলি বিক্রি করে মোটা অঙ্কের রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। যদিও সাধারণ মানুষের শরীরের কথা ভেবে ধীরে ধীরে একাধিক রাজ্য এই সমস্ত দ্রব্যকে নিষিদ্ধ করছে।আর এবার সেই পথেই হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা রাজ্যের তরফে জারি করা হয়েছে। সোমবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর তপন কান্তি রুদ্রের স্বাক্ষর রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুয়ায়ি, আগামী মাস অর্থাত্‍ নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হতে চলেছে গুটকা পান মশলা। নির্দেশ জারি করে আরও জানানো হয়েছে ৭ তারিখের পর থেকে গুদামজাত করা ও বিক্রি নিষিদ্ধ এই রাজ্যে। আপাতত এক বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি। গতকাল সোমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমনই একটি সার্কুলারে এমনটাই জানানো হয়েছে। এরপরেই নির্দেশিকাকে অমান্য করে গুটখা সহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট ওই ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ বছরের জন্যে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে আগামীদিনে সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হবে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। এর আগেও দু’বার গুটখা-সহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রির উপর নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। ২০১৩ সালে একবার এবং ২০১৯ সালে আরেকবার। কিন্তু দু’বারের জন্যই সেই নির্দেশই সার, সচেতনতার বালাই নেই। তাই আইনের তোয়াক্কা না করেই খোলা বাজারেই অবাধে বিক্রি হয়েছে তামাকজাত দ্রব্য। খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে। এবারেও কি এমনটা হবে, সেটাই প্রশ্ন অনেকের।