বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে চলছিল অত্যাচার। শেষ পর্যন্ত মর্মান্তিক পরিণতি হল গৃহবধূর। গত ৩ নভেম্বর উদ্ধার হয় ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। এর তিনদিন পর ৬ নভেম্বর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় তরুণীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মৃতার পরিবার। পণের জন্য তাদের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্কের পূর্ব আনন্দপল্লীতে। মৃতার নাম মীনাক্ষী নস্কর। তিন বছর আগে অভিযুক্ত বাবাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, দেড় বছরের একটি ছেলেও রয়েছে তেইশ বছরের মীনাক্ষীর। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মীনাক্ষীর উপর অত্যাচার করত তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মানসিক নির্যাতনের সঙ্গে চলত শারীরিক অত্যাচার। মীনাক্ষীকে মারধরের অভিযোগও এনেছে তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। পণের দাবি না মেটানোয় ক্রমাগত বাড়তে থাকে অত্যাচার।