কলকাতা

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বাংলার ব্যবসায়ীদের হেনস্থা, ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলার উন্নয়ন দেখতে পায় না কিছু মানুষ। রাজ্যের নামে অপ্রচার চালায়। এখানকার ব্যবসায়ীদের এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হয়। বাদ যায় না তাঁর পরিবারও। কিন্তু গত ১২ বছরের রাজ্যের রিয়েল এস্টেটে প্রভুত উন্নতি হয়েছে। সোমবার, ধনধান্য স্টেডিয়ামে রিয়েল এস্টেট কনভেনশন, ২০২৩-এর অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপি তথা বিরোধীদলগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথমে ভার্চুয়ালি শ্রী সিমেন্টের কারখানার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই তিনি জানান, গত ১২বছর অর্থাৎ তৃণমূল জমানায় রাজ্যে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। এর পরেই রাজ্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিরোধীদের তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমরা তিনটি অর্থনৈতিক করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বহু মানুষ কাজ করেন। কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের দাম সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বেড়েছে। কিছু মহল থেকে সারাক্ষণ বলা হয় বাংলায় উন্নয়ন হয় না। বিরোধীরা এধরনের মিথ্যা প্রচার করে থাকে।“ এরপরেই কেন্দ্রের এজেন্সি রাজ নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, “ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার পরিবারকেও হেনস্থা করা হয়। অথচ আমি কারও থেকে এক পয়সাও নিইনি, এককাপ চাও খায়নি। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ, “আপনারা ভয় পাবেন না, প্রয়োজনে আদালতের সাহায্য় নিন।মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমাদের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে যে কোনও শিল্পের প্রয়োজনে জমি পাওয়া সম্ভব। আমাদের রাজ্যে বহু দক্ষ শ্রমিক আছেন। আমাদের রাজ্য থেকে শ্রমিকদের অন্য দেশে-রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা সুরক্ষা পান না”