কয়লা কান্ডের তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল সাংসদ, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জিকে। রুজিরা ও অভিষেকের জন্য যথাক্রমে ১লা ও ৬ই সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। গত ৩১শে আগস্ট অভিষেক পত্নী চিঠি দিয়ে জানান, দুই শিশু সন্তানকে ফেলে এই করোনা আবহে তিনি দিল্লি যেতে অপারগ। জিজ্ঞাসাবাদ হোক কলকাতায়। অভিষেক অবশ্য এখনও জানাননি ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা। তবে এদিন ইডি কর্তার বিরুদ্ধে ওঠা বিস্ফোরক অভিযোগ রি-টুইট করে বুঝিয়ে দিলেন, ‘লড়াই’ হবে। ইডি ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্রর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ বছর ধরে তিনি তাঁর সম্পত্তির হিসেব দাখিল করেননি। এদিকে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে প্রতি বছর নিজের সম্পত্তির হিসেব জমা করতে হবে। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। তিনি এই বিষয়টি টুইট করেন। তারপরেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সেই টুইট রিটুইট করেন অভিষেক ব্যানার্জি। ঠিক কী লেখা হয়েছে? সাকেত লেখেন, ‘বেদনাদায়ক! প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে প্রতি বছর তাঁদের স্থাবর সম্পত্তির হিসেব জমা দিতে হয়। কিন্তু ইডির ডিরেক্টর এস কে মিশ্র, ২০১৭ থেকে ২০২০ তে অবসর গ্রহণের সময়কাল পর্যন্ত সেই হিসেব জমা দেননি। এই তদন্ত কে করবে?@এনসীতারামন? আমরা করব?’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ট্যাগ করা সাকেতের এই পোস্ট রিটুইট করেন অভিষেক। জানা গেছে, গত নভেম্বরে চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও অতিরিক্ত ১ বছরের কর্মজীবন পেয়েছেন তিনি। সম্পত্তির হিসেব জমা না দেওয়ার পরেও কেন কোনও প্রশ্ন উঠছে না ইডি কর্তার বিরুদ্ধে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। শুধু মমতা ব্যানার্জি নয়, বিজেপি বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফেই নিয়মিত অভিযোগ তোলা হয় যে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কিছু বললেই ইডি বা সিবিআই তদন্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। মুখে কিছু না বলেই শুধু রিটুইট করে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।