প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভাসল দিঘা। মঙ্গলবার সৈকতের গার্ডওয়াল টপকে জল ঢুকে পড়ে দিঘা শহরে। ভেসে যায় দিঘা বাজার এলাকা। শুধু তাই নয়, উপকূলবর্তী অনেক গ্রামেও জল ঢুকেছে বলে খবর। ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ ফুট বলে জানা গিয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার জেরে ভরা কোটাল রয়েছে মঙ্গলবার। তার ফলেই দিঘার সমুদ্রে এই জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তাল হতে শুরু করে সমুদ্র। পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করে প্রশাসন। জলে না নামলেও সমুদ্রের ধারে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা। এই জলোচ্ছ্বাস দেখে খুশি তাঁরা। অনেকে জানিয়েছেন, এত উঁচু ঢেউ এর আগে তাঁরা দেখেননি। জল ঢুকেছে দিঘা শহরের বেশ খানিকটা ভিতরে। সৈকত লাগোয়া কিছু হোটেল ও
রিসর্টের ভিতরেও জল ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের ফলে দিঘা সমুদ্রে উল্টে গিয়েছে মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ওই ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা। দীঘা সমুদ্র উপকূলে থাকা সিভিল ডিফেন্সের কর্মী এবং নুলিয়ারা সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় ওই ট্রলার উল্টে যাওয়ার ঘটনাটি দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সমুদ্রে নেমে ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন। কারোর প্রাণহানি হয়নি। তবে পাথরে ধাক্কা লেগে কয়েকজন মৎস্যজীবী আহত হয়েছেন। সিভিল ডিফেন্সের তরফে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও আজ থেকে আগামী দু-তিনদিন বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলবে বলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেছিল প্রশাসন। তারপরেও কীভাবে মৎস্যজীবীরা প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে ট্রলার নিয়ে দিঘা সমুদ্রে পাড়ি দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।