সূত্রের খবর, পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে নয়, বরং বাড়িতে বসে যাতে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতেই পাঠানো হবে প্রশ্নপত্র। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু’দফার বৈঠকে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে এমন ভাবনার কথাই জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অন্যদিকে, লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে গাণিতিক ফর্মুলায় ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা যাচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতেই প্রশ্নপত্র পাঠানো হোক। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের ঝুঁকি কমবে। আবার পরীক্ষাও হবে। মহুয়াদেবীর বক্তব্য, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়িতে বসেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তেমন ব্যবস্থা করা যাবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের যুক্তি, ইতিমধ্যেই প্র্যাকটিকাল ও প্রোজেক্টের নম্বর জমা পড়ে গিয়েছে সংসদের কাছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবেই পরীক্ষা নেওয়া উচিত বলে মত সংসদের। শুক্রবার, বিশেষজ্ঞ কমিটির তৃতীয় দফার বৈঠক হবে। এই প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে কিনা তা বৈঠকেই ঠিক হবে। যদি প্রস্তাব চূড়ান্ত হয় তবেই তার রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরে জমা পড়বে। অন্যদিকে সূত্র মারফত্ জানা যাচ্ছে, মাধ্যমিকে লিখিত পরীক্ষা নিতে চাইছে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে গত দু’দফায় বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে বেশ কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। জানা যাচ্ছে, পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে গাণিতিক ফর্মুলায় ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে কমিটির কাছে। সেক্ষেত্রে নবম শ্রেণির সামগ্রিক নম্বর ও দশম শ্রেণিতে এখনও অবধি যত পরীক্ষা হয়েছে, এই দুইয়ের নিরিখে নম্বর দেওয়ার ভাবনা রয়েছে পর্ষদের। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব বিষেজ্ঞ কমিটির কাছে জমা পড়েছে। আজ বিকেলে বৈঠকের পর সন্ধের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে।বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, জুলাই মাসের শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে, মাধ্যমিক হবে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। কিন্তু এরপরে জাতীয় স্তরে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে সিবিএসসি এবং আইএসসি-র দ্বাদশ পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়। তার জেরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি ঘোষণা স্থগিত রাখতে বলে রাজ্য সরকার। পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়।