জেলা

দফায় দফায় বিক্ষোভ! উঠল গো-ব্যাক স্লোগান, সকাল থেকেই ঘাটালের তাড়া খেলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়

ষষ্ঠ দফার প্রথম থেকেই আসরে ঘাটাল প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাথে বচসায় জড়ালেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ! সকাল থেকেই এই বুথে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। শাসক দল বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেয়নি এমনই অভিযোগ করেন বিজেপির পোলিং এজেন্ট। তারপর সেখানে গিয়ে পৌঁছায় ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোয়ানদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরই কেশপুরে প্রবল বিক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। কেউ তেড়ে গেলেন বাঁশ-লাঠি নিয়ে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে। গো ব্যাক স্লোগান। গাড়ি ঘোরাচ্ছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়। ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণের জন্য রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছেন নির্বাচন কমিশন। সবমিলিয়ে ৯১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে আটটি কেন্দ্রে। তার পরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন বিজেপি-র প্রার্থী হিরণ।হিরণ বলেন, ‘কেশপুরে বাড়িতে বাড়িতে ভাঙচুর করছে, কর্মীদের মারধর করেছে। পোলিং এজেন্টদের নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি যতটা পারব সারাদিনে করব। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে গেলে একাই লড়তে হবে। বাংলার মানুষ দেখুক। কলকাতায় এসি রুমে বসে যারা বড় বড় কথা বলেন তাঁরা এসে কেশপুরে দেখে যান।’  প্রথমবারের পর, ফের দ্বিতীয়বার বিক্ষোভের মুখে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। হিরনের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ উত্তেজনা। কেশপুরে, হিরনের গাড়ির সামনে খড় ফেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে। এই ঘটনায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট (ATR) তলব করল।