কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে সমন জারি আদালতের। বিধাননগরে রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল ১০টায় অমিতকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ২০১৮- সালে কলকাতার মেয়ো রোডে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নিতির অভিযোগ তোলেন তদকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তারপরেই অমিত শাহের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেই মামলার ভিত্তিতেই শুক্রবার আদালতের তরফে নির্দেশে জানানো হয়েছে আগামী ২২ তারিখ সকাল দশটার মধ্যে অমিত শাহ কিংবা তাঁর প্রতিনিধিকে হাজিরা দিতে হবে। ২০১৮ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে কলকাতার মেয়ো রোডে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। সেই সভা থেকেই তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে দুর্নিতি ও তোলবাজির অভিযোগ করেন শাহ। তারপরেই শাহের বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালতে মামলা করেন অভিষেক। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যে অভিযোগ করছেন শাহ। কীসের ভিত্তিতে এই বক্তব্য রেখেছেন অমিত শাহ তাঁর প্রমাণ দাবি করেন অভিষেক। তিনি এও জানান, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া একজন সাংসদ। গোটা বাংলায় তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমন মিথ্যে অভিযোগ করছেন অমিত শাহ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে তখনই একটি মামলা করেন, যার ভিত্তিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহকে তলব করেছে আদালত। ২৮ আগস্টের কলকাতার মেয়ো রোডের জনসভায় অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অমিত শাহ। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেন অমিত। প্রাথমিক ভাবে অভিষেকের আইনজীবির তরফে অমিত শাহকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয় কিন্তু তাতে উত্তর না দিলে শাহর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিষেক। আর সেই মামলার জেরেই সমন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।