জেলা

এবার এক ট্রেনেই হাওড়া থেকে কামারপুকুর -জয়রামবাটী!

বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এর ফলে বিষ্ণুপুর থেকে গোঘাটের দিকে রেল চলাচলের জন্য বাড়ল আরও দুটি স্টেশন। আগে ছিল বিষ্ণুপুর, বিরসা মুন্ডা হল্ট, গোকুলনগর, ময়নাপুর স্টেশন। এখন নতুন স্টেশন হল বড় গোপীনাথপুর, জয়রামবাটী। আগামিদিনে এই রেল পথ আরামবাগ হয়ে জুড়ে যাবে তারকেশ্বরের সাথে। সূত্রের খবর, জয়রামবাটি অবধি শীঘ্রই রেল চালু হয়ে যাবে। যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে, প্রচুর সংখ্যক যাত্রীদের সুবিধা হবে। একদিকে তারকেশ্বর, অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের সঙ্গে সারদা মায়ের জন্মস্থান জয়রামবাটি সহ ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুর জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয় ২০০০ সালের গোড়ায়। তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে তারকেশ্বর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ধাপে ধাপে প্রকল্পের কাজ শেষ করে কখনও বিষ্ণুপুর থেকে গোকুলনগর পর্যন্ত আবার কখনও সেই রেলপথ সম্প্রসারিত করে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু করেছে রেল। কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন চালানো হয় সম্প্রসারিত ওই রেলপথে। জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর দূরত্ব ৫.১৯ কিলোমিটার। আর কামারপুকুর থেকে গোঘাট ৫.১ কিলোমিটার। এই রেলপথে ভাবাদিঘির জন্য আটকে থাকা কাজ বাকি। যা এক বছরের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব হবে বলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আগামী মার্চেই হাওড়া থেকে সরাসরি বিষ্ণুপুর পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রেলের আধিকারিকরা। এই রেলপথ তৈরি হলে সরাসরি বিবেকানন্দের বেলুড়মঠ, রামকৃষ্ণের জন্মভূমি কামারপুকুর ও মা সারদার জন্মভূমি জয়রামবাটি ও মল্লভূমের রাজধানী বিষ্ণুপুরকে একই সূত্রে গাঁথা হবে রেলপথে।