সুব্রত বক্সির সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর সুর বদলালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। গত বৃহস্পতিবার একটি রাস্তার উদ্বোধনে এসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বেসুরো হয়েছিলেন শতাব্দী রায় এবং প্রসূন ব্যানার্জিও। তার পরেই নড়েচড়ে বসে গোটা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবারই অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা সমস্যা মিটিয়ে নিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী। শনিবার সুর নরম করলেন গৌতম, প্রসূনও।
পোড় খাওয়া নেতা সুব্রত বক্সির সঙ্গে ফোনালাপের পর গৌতম দেব জানান, ‘দলের সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি দাদার মতো। আজ সকালে দিদির সঙ্গেও কথা হয়েছে। উনি আমার অভিভাবক। বিস্তর আলোচনাও হয়েছে, পরামর্শও দিয়েছেন আমাকে। দলীয় কর্মীদের একটা ছোটখাটো বৈঠক করছিলাম। বিষয়টা নিয়ে এত মাতামাতি হবে, বুঝিনি। যে দলেই থাকি, কোনওদিন খারাপকিছু করিনি। বক্সিদা যে উপদেশ দিয়েছেন, তা মেনে চলব। আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল।’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গৌতমবাবু বলেছিলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি লিখেও কোনও কাজ হয়নি।’ তার পর গতকালই মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে যত্ন নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিষয়গুলি দেখেন, সেজন্য ওনার প্রতি কৃতজ্ঞ আমি।’সূত্রের খবর, শনিবার প্রসূন ব্যানার্জির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তারপরই সমস্যা মেটার ইঙ্গিত দিয়ে প্রসূন জানান, ‘দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।