স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে স্ত্রীকে নিয়মিত ধর্ষণ করত প্রতিবেশী এক যুবক। দীর্ঘদিন পরে হলেও তা জানতে পারেন স্বামী। কিন্তু তারপর বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে নিজেরাই সেই যুবককে শাস্তি দিতে উঠে পড়ে লাগেন। আর তার জেরেই বন্দুকের গুলি কিনতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে। পুলিশ অস্ত্রশ দম্পতিকে আটক করলেও পরে স্ত্রীকে ছেড়ে দেয় ও স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে। আর যে যুবকের কিকীর্তির জন্য এই ঘটনার সুত্রপাত মাঝখান থেকে সেই এখন বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে। গ্রেফতারির ঘটনা রাজারহাটের ইকোপার্ক থানা এলাকায় হলেও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর পুরসভার ন’পাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, ন’পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন ওই দম্পতি। কিন্তু স্বামী বাড়িতে না থাকলেই সেখানে হাজির হত প্রতিবেশী এক যুবক। সেই সঙ্গে চলতো ওই বধূকে ধর্ষণ। শুধু তাই নয়, সেই কুকীর্তির ভিডিও পর্যন্ত করে রেখেছিল সে। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়েই ওই বধূকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করতো পেশায় ফুচকা বিক্রেতা ওই যুবক। শেষ পর্যন্ত স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন ওই বধূ। কিন্তু তারপর নিজেরাই সেই যুবককে শেয়েস্তা করার ছক কষেন। তার জেরেই কিনে ফেলেন বন্দুক আর একটি গুলি। কিন্তু একটা গুলিতেই ওই যুবকের মৃত্যু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ছিল ওই দম্পতি। তার জেরেই তাএয়া রাজারহাটের কাছে হাতিয়াড়াতে গিয়েছিল গুলির সন্ধানে। তাও আবার মাঝরাতের দিকে।গভীর রাতে হাতিয়াড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ওই দম্পতি পুলিশের চোখে ধরা পড়ে যায়। পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বার হয় আসল সত্য। উদ্ধার হয় বেআইনি ওই বন্দুক আর তাতে থাকে একটি গুলিও।পাশাপাশি, ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ফুচকা বিক্রেতা যুবকেরও খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
