করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে গতকালই বড় জনসভা, রোড শোয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। বাকি দু-দফার ভোটের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আরও কড়া পদক্ষেপ করল নির্বাচন সদন। এদিন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বাকি দুদফার ভোটের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, করোনা বিধি না মানলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর করুন। হাইকোর্টকে কেন মাথা ঘামাতে হচ্ছে তা নিয়েও কমিশন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি কমিশন এও বলেছে, যারা কোভিড বিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন তার রিপোর্ট আমাদেরকে পাঠান। সূত্রের খবর, প্রচারে করোনা বিধি না মানায় মালদহে শোকজ করা হতে পারে প্রায় ৮ জন প্রার্থীকে। বীরভূমের ছ’জন প্রার্থীর বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। এদিনের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার করোনা বিধি না মানা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে খবর। তবে সপ্তম এবং অষ্টম দফা নির্বাচন একসঙ্গে করার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। অর্থাত্ নির্বাচনী নির্ঘন্টে কোনও বদল হচ্ছে না। অন্যদিকে শেষ দু’দফার ভোট কোনও ভাবেই একদিনে করা যাবে না, এ দিন রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে এক বৈঠকে এমনটাই জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। ফলে আগামী ২৬ ও ২৯ এপ্রিল-ই যে শেষ দু’দফার ভোট হতে চলেছে, তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না। আগের সিদ্ধান্তেই অনড় রইল কমিশন। আজকের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের দুই পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং অজয় নায়েক। বৈঠকে শেষ দুই দফার ভোট পূর্ব নির্ঘণ্ট অনুযায়ীই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যে ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রথম দফা থেকে করা হয়েছিল, তা অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন। ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার স্বার্থে দু’দফার ভোট একদফায় করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে আজকের বৈঠকে। ষষ্ঠ দফার ভোটে যেভাবে একাধিক জায়গায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে এবং বোমা উদ্ধার হয়েছে, তা রোখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী দুই দফায়। নাইট পেট্রোলিং বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাতে দুই পর্যবেক্ষক সন্তুষ্ট। কমিশনকেও সে কথাই জানান তাঁরা।