বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায় কিনা লড়াইয়ের আগেই স্বীকার করে নিলেন হার! স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে এখন তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। মুকুল জানিয়েছেন, ‘২০২১-এর বিধানসভা ভোট আমাদের কাছে বাঁচামরার লড়াই। এই ভোটে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে, তা হলে আমার মতো মানুষদের আর পশ্চিমবঙ্গে থাকার জায়গা থাকবে না! এটা নতুন আঙ্গিকের লড়াই। আর আমাকে চাণক্য বলে লজ্জা দেবেন না! যদি ২০২১-এ সত্যি সত্যি ২০০ আসন নিয়ে বিজেপির সরকার গড়তে পারি, তখন যা বলার, বলবেন। নিজের বুথ সামলান। সেখানে জিতুন। দেখবেন, তা হলেই রাজ্যে বিজেপি জিতবে। ২০১১ সালে যেমন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভোটে হেরে গিয়েছিলেন, যা চলছে, তা চলতে থাকলে এই ভোটে ভবানীপুর বিধানভা কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জিতবেন কি না- এটা বড় প্রশ্ন।’ এখন প্রশ্ন মুকুল হঠাত্ করে করে এই কথা বলতে গেলেন কেন! রাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় সিআইডি রানাঘাট আদালতে মুকুলের নামে চার্জশিট জমা দিয়ে তাঁকেই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাই আদালতের অনুমোদন মিললেই সিআইডি মুকুলকে গ্রেফতার করার পথে এগোবে। সেই ভয়ই সম্ভবত মুকুল ওই বেঁফাস মন্তব্যে করে ফেলেছেন। একই সঙ্গে দল যে আগামী বিধানসভা নির্বাচণে জয়ের মুখ দেখতে পারবে না সেই চরম সত্যটিও তুলে ধরেছেন। তবে মুকুলের মন্তব্যের জেরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবিরও। রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন মুকুলবাবু তো দলেরই নেতা ছিলেন। তিনি এ সব কাজ করেছিলেন নাকি? নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর জানা উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। জামা বদলে মুকুলবাবু বোধহয় গণতন্ত্রের পাঠটাই ভুলে গিয়েছেন! সিপিএমও তো কংগ্রেসের সঙ্গেও ২০১৬ সালে জোট করে চেষ্টা করেছিল। এবারেও করছে। হিম্মত থাকলে বিজেপিও এক বার চেষ্টা করে দেখুক না!’