দেশ

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর

আয়কর দফতরের হানার পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি এদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গোয়া সহ দেশের একাধিক জায়গায় এদিন তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর দফতর। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতে এদিন মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ারের ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের রাজনীতি ইতিমধ্যেই তোলপাড় হতে শুরু করেছে। এদিন সকালে আরিয়ান ইস্যুতে বিরোধী থেকে এনসিবি কর্তৃপক্ষকে কার্যত একহাত নিতে শুরু করেছিলেন নবাব মালিক, ঠিক তখনই মহারাষ্ট্র জুড়ে আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।  বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়ারের ৫টি সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে রয়েছে নরিম্যান পয়েন্টের নির্মল টাওয়ার, মহারাষ্ট্রের সাতারার জরান্দেশ্বর চিনির কারখানা, মুম্বইয়ের একটি প্রাঙ্গণ, দিল্লির একটি ফ্ল্যাট, গোয়ার একটি রিসর্ট ও মহারাষ্ট্রের ২৭টি এলাকায় থাকা জমি ৷ সবমিলিয়ে মোট সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১০০০ কোটি টাকা ৷ গত মাসে অজিত পাওয়ারের বোনের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর ৷ এরপরই অজিত পাওয়ার জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে জড়িত সব সম্পত্তির জন্য নিয়মিত কর দেওয়া হয় ৷ ৬২ বছরের এনসিপি নেতা বলেছিলেন, “প্রতি বছর আমরা কর দিই ৷ আমি যেহেতু অর্থমন্ত্রী, তাই আর্থিক নিয়মগুলি সম্পর্কে আমি অবগত ৷ আমার সঙ্গে জড়িত সব সম্পত্তির জন্য নিয়মিত কর দেওয়া হয় ৷” তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তখন তিনি বলেছিলেন, “আমি খুবই হতাশ, কারণ ৩০-৪০ বছর আগে বিয়ে হয়ে যাওয়া বোনেদের বাড়ি ও অফিসেও হানা দেওয়া হচ্ছে ৷ যদি তারা অজিত পাওয়ারের আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দেয়, তাহলে মানুষ নিশ্চয়ই এই বিষয়টি নিয়ে ভাববে…এই কারণেই এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷” তাঁর ভাইপোর বাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারও ৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছিলেন, “এমন অতিথিদের দেখে আমরা ভয় পাই না ৷ রাজ্যের নির্বাচনের আগে কীভাবে আমাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে ৷ ব্যাঙ্কের থেকে আমার কোনও ঋণও নেওয়া ছিল না আর তার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কও ছিল না ৷ ওরা আমায় নোটিশ দিয়েছিল আর মহারাষ্ট্র ওদের শিক্ষা দিয়েছে ৷” শরদ পাওয়ার আরও বলেন, “অজিত পাওয়ার ও অন্যদের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে ৷ মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহারের সাক্ষী থাকছে ৷”