অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারির মাধ্যমে ব্রিটেনে সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই নিয়েই এবার আয়কর দপ্তরের জেরার মুখে রবার্ট ভদ্র। সোমবার তাঁর দিল্লির অফিসে হানাও দিল আয়কর দপ্তর। এই মামলায় এর আগেই জেরার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাইকে তলব করেছিল আয়কর দপ্তর। করোনার কারণ দেখিয়ে তিনি এড়িয়ে গেছিলেন। সোমবার দুপুরে তাঁর দিল্লির সুখদেব বিহারের দপ্তরে পৌঁছে গেল আয়কর দপ্তর। এই মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। অভিযোগ, ২০০৯ সালে একটি পেট্রোলিয়াম চুক্তির জেরে যে টাকা পেয়েছিলেন রবার্ট, সেই দিয়েই লন্ডনে বেশ কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন। ২০১৮ সালে ওই ঘটনা টাকা তছরুপের মামলাও দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, লন্ডনের ব্রিস্টন স্কোয়্যারে বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন রবার্ট ভদ্র, যার দাম ১৭.৭৭ কোটি টাকা। এছাড়াও ৩৭.৪২ কোটি টাকা এবং ৪৬.৭৭ কোটি টাকা মূল্যের দু’টি সম্পত্তি রয়েছে। আয়কর দপ্তরের সন্দেহ, আরও ছ’টি ফ্ল্যাটও রয়েছে ব্রিটেনে। তবে সবই বেনামে। এগুলো ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কেনা হয়েছে। রবার্ট ভদ্র যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।