জেলা বিদেশ

এনজেপি থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিশেষ রেল পরিষেবা চালু হতে চলেছে

আগে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে বন্ধন এক্সপ্রেস ও মৈত্রি এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। এবার উত্তরের রাজধানী শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি বাংলাদেশের ঢাকা পৌঁছতে পারবেন পর্যটকরা। মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উত্তরের পর্যটনের উন্নয়নের স্বার্থেই এই দুই দেশের মধ্যে বিশেষ রেল পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষ। ওই বিষয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ রেলের আট জনের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ভারতে আসেন এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকদের সঙ্গে পরিষেবা নিয়ে দুদিন ধরে আলোচনা সারেন। ২৬ মার্চ ওই রেল পরিষেবার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন মুখ্য পরিযোজনা নির্দেশকের কার্যালয়ে চূড়ান্ত বৈঠক সারেন দুই দেশের রেল আধিকারিকরা।বৈঠকের পর বাংলাদেশ রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, “এর আগে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দুটো রেল পরিষেবা চালু হয়েছিল। এবার পর্যটনের উন্নয়নের স্বার্থে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের স্বার্থে আরও একটি রেল পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 26 মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওই রেল পরিষেবার সূচনা করা হবে। এতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে এবং পর্যটনে উন্নয়ন সাধন হবে।” কাটিহারের ডিআরএম বলেন, “এখন সপ্তাহে সোমবার এবং বৃহস্পতিবার এই দুদিন করে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে ঢাকা যাবে ওই বিশেষ ট্রেন। সেই দিনই রওনা দিয়ে পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার এবং শুক্রবার ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌছবে ওই ট্রেনটি।”জানান গিয়েছে, ছটা স্লিপার কামরা, দুটো চেয়ার কোচ থাকছে। সবগুলোতে এসি বা বাতানুকূল ব্যাবস্থা থাকছে। তবে ট্রেনটি নন স্টপ। এনজেপি থেকে রওনা দিয়ে সরাসরি ঢাকাতে গিয়েই ট্রেনটি থামবে। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। টিকিটের মূল্য ধার্য করার জন্য একটি দুই দেশের মধ্যে টিকেটিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আলোচনার পরেই টিকিটের মূল্য ধার্য করবে।