বাংলাদেশকে ২২৭ রানে হারিয়ে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতল বিরাটরা। প্রথমে ব্যাট করে ইশান কিষাণ ও বিরাট কোহলির দৌলতে আট উইকেটে ৪০৯ রান তুলেছিল সফরকারী দল। পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ৩৪ ওভারে ১৮২ রানেই থামতে হয় টাইগারদের। শেষ উইকেটে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহেমদ দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে সবচেয়ে বেশি রানে হারের লজ্জা থেকে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। জয়ের জন্য পাহাড় প্রমাণ রান তাড়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। দলের স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান যোগ হতে না হতেই অক্ষর পটেলের বলে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। মাত্র আট রান করেন তিনি। এর পরে জুটি বেঁধে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। মোহাম্মদ সিরাজের বলে মিড অফে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। তাঁর অবদান ২৯ বলে ২৯। এর পরে দ্রুত ফিরে যান অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম (১৩ বলে ৮)। পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৯ তম ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে শতরানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ইয়াসির আলি। কিন্তু উমরান মালিকের ইনসুইঙ্গার ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে না পেরে সাজঘরে ফেরেন। খানিকবাদে এক প্রান্ত আগলে রাখা সাকিব আল হাসানকে (৫০ বলে ৪৩) ফেরান কুলদীপ যাদব। ফের ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ। দলের স্কোর বোর্ডে দুই রান যোগ হতে না হতে ফেরেন আফিফ হোসেন। ২৯ তম ওভারে বল করতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেনকে সাজঘরের পথ দেখান শার্দুল ঠাকুর। শেষ উইকেটে জুটি বেঁধে ২৬ বলে ৩৩ রান যোগ করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আমেদ। ৩৪তম ওভারের শেষ বলে উমরান মালিকের বিষাক্ত বল মুস্তাফিজুর রহমানের স্টাম্প ছিটকে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।