কলকাতা

স্পিনেই বাজিমাত, ১০ উইকেটে পিঙ্ক বল টেস্ট জয় টিম ইন্ডিয়ার

নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া ৷ ৫দিনের টেস্ট মাত্র ২ দিনেই খতম করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। মোতেরার আলোচিত পিচে ভারতের সামনে জয়ের জন্য টার্গেট ছিল মাত্র ৪৯ রান। কোনো উইকেট না হারিয়েই ভারত সেই রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলল। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে এল ভারতের জয়। শুভমান গিল ১৫ এবং রোহিত শর্মা ২৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। রুটের বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়সূচক রান তুলে নেন হিটম্যান। রাঙ্ক টার্নারে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে সাবলীল ৬৬ করে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। আর দ্বিতীয় ইনিংসেও ওয়ানডের মেজাজে ব্যাট করে রোহিত এমন পিচে করে গেলেন ২৫।  ভারতের দুরন্ত জয়ের নায়ক কেরিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অক্ষর প্যাটেল। দুই ইনিংস মিলিয়ে এগারো শিকার তরুণ স্পিনারের। ম্যাচের সেরাও তিনি। প্রথম দিনের মত এদিনও ইংরেজদের ঘাতকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। গুড লেংথে বল করে গতির হেরফের ঘটিয়ে বল দারুণ সক্ষমতায় মিক্স আপ করে ইংরেজদের ধ্বংস করে দিয়েছেন একাই। অন্যপ্রান্তে দোসর হিসাবে পাশে পেয়েছেন অশ্বিনকে। তবে অশ্বিন নন, ঘরের মাঠ মোতেরার পিচে একাই দুই দলের মধ্যে তফাৎ গড়ে দিয়েছেন তিনি। অক্ষরের ১১উইকেট শিকারের সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট দখল করলেন। বিপক্ষের ২০ উইকেটের ১৯টিই দখল করলেন স্পিনাররা। সেইসঙ্গে এদিন জোফ্রা আর্চারকে আউট করার সঙ্গেই কেরিয়ারের ৪০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়ে ফেলেন তিনি। দ্রুততম ৪০০ উইকেট শিকার করার নিরিখে তিনি আপাতত দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরণ। চতুর্থ ভারতীয়।হিসাবে এই কীর্তি গড়লেন অশ্বিন। তার আগে অনিল কুম্বলে (৬১৯), কপিল দেব (৪৩৪), হরভজন সিং (৪১৭) ৪০০ উইকেটের ক্লাবে পৌঁছেছিলেন। ভারতের জয়েও আবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে আন্ডারপ্রিপেয়ার্ড পিচ নিয়ে। প্রশ্ন উঠে গেল মোতেরার পিচ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার উপযুক্ত কিনা, তা নিয়েই। প্রথম দিনে দুই দলের ১৩ উইকেটের পর এদিন মাত্র দুটো সেশনেই ১৭ উইকেট! পিচ নিয়ে আয়োজক হিসাবে বিসিসিআই যে অস্বস্তিতে পড়বে, তা লিখে দেওয়াই যায়। যদিও আইসিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পিচের জন্য কোনো পয়েন্ট কাটা হবে না ভারতের।