ফের সীমান্তে চিনা আগ্রাসন। অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতে ঢুকল লাল ফৌজ। প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে অরুণাচন প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢকে পড়ে চিনা সেনা। ভারতীয় সেনার সঙ্গে বিরোধে জড়ান তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ পরে পিছু হটে লাল ফৌজ। সূত্রের খবর, টহলদারির সময় অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনার উপস্থিতি নজরে পড়ে ভারতীয় বাহিনীর। জওয়ানরা দেখতে পান প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতে প্রবেশ করেছে প্রায় ২০০ জন চিনা সেনা। প্রায় ৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসেছে তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেন জওয়ানরা। চিনা সেনার মুখোমুখি দাঁড়ায় ভারতীয় সেনা। তাদের বাধা দেয়। এরপর বিবাদে জড়ায় উভয়পক্ষ। দীর্ঘ সময় ধরে সেই ববাদ চলে। কেউই এক চুল জমি ছেড়ে দেয়নি। এরপর আলোচনার মাধ্যমে পিছু হটে চিনা সেনা। এলাকা ছাড়েন ভারতীয় জওয়ানরাও। বিষয়টিকে উস্কানিমূলক এবং এক তরফা বলে ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। এই ধরনের উস্কানি শান্তিবিঘ্নিত করে বলে জানিয়েছেন তিনি। এবার চিন হয়ত তার স্বভাব বদলাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অরিন্দম বাগচি বলেন, “আশা করব যে চিন এবার আগের শর্ত মেনে চলবে।”
অরুণাচল প্রদেশের ওই অংশে চিনা আগ্রাসন নতুন কিছু নয়৷ ২০১৬ সালেও দুশোর বেশি চিনা সেনা ইয়াংগটসেতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়েছিল৷ বেশ কিছুক্ষণ পরে তারা অবশ্য ফিরেও যায়৷ ২০১১ সালেও ওই এলাকায় চিনা বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে প্রায় আড়াইশো মিটার দীর্ঘ একটি পাচিল তোলার চেষ্টা করে৷ বিষয়টি নিয়ে দিল্লি বেজিংয়ের কাছে প্রতিবাদও জানায়৷ মাত্র মাস খানেক আগেই উত্তরাখণ্ডের বরাহোতি সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা বাহিনী অনুপ্রবেশ করে বলে অভিযোগ৷ কয়েক ঘণ্টা ভারতীয় সীমানায় থাকার পর তারা ফিরে যায়৷ লাদাখ সীমান্তে গত বছরের তুলনায় ভারতীয় এবং চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনা অনেকটা কমলেও এখনও সেখানে বিশাল সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে দুই দেশই৷