দেশ

দেশের প্রথম সাত্ত্বিক নিরামিষ ট্রেন হতে চলেছে দিল্লি থেকে কাটরা গামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

দেশের প্রথম সাত্ত্বিক নিরামিষ ট্রেন হতে চলেছে দিল্লি থেকে কাটরা গামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চড়তে হলে কোনওভাবেই যাত্রীরা আমিষ খাবার বহন করতে পারবেন না সঙ্গে, এমনকি ট্রেনে কোনও আমিষ খাবার খেতেও পারবেন না। দিল্লি এবং কাটরার মধ্যে চলমান বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সম্পূর্ণ নিরামিষ পরিবেশ দেওয়া হবে এবং এই নিরামিষ পরিবেশ কেবল যাত্রীদের পরিবেশন করা খাবারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। ট্রেনের ওয়েটাররা আমিষ খাবার ছোঁবেন না এবং যে রান্নাঘরে খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে সেখানে নিরামিষ খাবার ছাড়া কিছুই ঢুকবে না। এখানেই শেষ নয়, পরিষ্কারের সাবান এবং অন্যান্য জিনিসগুলিও হবে ‘নিরপেক্ষ’ উপকরণ দিয়ে অর্থাৎ পশুর দেহজাত কিছুই সেখানে ব্যবহার করা হবে না। দিল্লি-কাটরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসই দেশের প্রথম ট্রেন যাকে সাত্ত্বিক শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। এনজিও সাত্ত্বিক কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে IRCTC। বন্দে ভারত থেকে শুরু করে অন্য সমস্ত ট্রেন যা পবিত্র স্থানগুলির উপর দিয়ে যাবে বা তীর্থস্থানে যাবে তার জন্য এই সাত্ত্বিক নিরামিষ ব্যবস্থাপনা চালু হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরের শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা গামী এই ট্রেন থেকেই শুরুটা করা হল। দিল্লি কাটরা গামী এই ট্রেনটিই প্রথম এমন স্বীকৃতি পেল। সাত্ত্বিক কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার বিশ্লেষকের মতে, বারাণসীগামী বন্দে ভারতের মতো আরও ১৮ টি ট্রেনে এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই অভিযান শেষ হওয়ার পরে সাধারণ ট্রেনগুলিকেও সাত্ত্বিক নিরামিষ ট্রেন করার পরিকল্পনাও রয়েছে। সাত্ত্বিক কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা অভিষেক বিশ্বাসের দাবি, বন্দে ভারত ট্রেনকে সাত্ত্বিক শংসাপত্র দেওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়েছিল। এতে, রান্নার পদ্ধতি, রান্নাঘর, পরিবেশন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি সমস্ত মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেই শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছিল।