আজ ডায়মন্ড হারবারের সুলতানপুরের কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে তাঁর কনভয়ে হামলা চলে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকারকে একহাত নেন বিজেপি সভাপতি ৷ নিজের ভাষণের শুরুতে তিনি বলেন, মমতাজি আপনার যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। নিজের ভাষণের শুরুতেই জেপি নাড্ডা রাজ্যে অসহিষ্ণুতা এবং অরাজকতার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন এই রাজ্যে গুণ্ডারাজ খতম করতে হবে। এরজন্য সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ চান তিনি। বললেন, ‘এ রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে, আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শুধু কাটমানি আর কাটমানি। মোদিজি অর্থ দিচ্ছেন আর কাটমানিতেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, নিজের গাড়ি বুলেট প্রুফ হওয়ার জন্যই তিনি বেঁচে গিয়েছেন। স্রেফ মা দুর্গার কৃপায় সভায় পৌঁছতে পেরেছি। কিন্তু অন্যদের গাড়ি তা না হওয়ায় রক্ষা হয়নি। তিনি বলেন, যে বাংলা দেশ দৃষ্টি দিয়েছে, সেই বাংলার অবস্থা এখন নিচে নেমে গিয়েছে। একে টেনে তুলতে হবে, সোনার বাংলা গড়তে হবে বলেন তিনি। অভিযোগ করেন, বাংলায় বিরোধী দলের আওয়াজকে দমিয়ে রাখতে, তাদের গলা টিপে ধরছে শাসক দল ৷ আর তাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের লোকসভা কেন্দ্র থেকে নাড্ডার বার্তা, বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলকে বিদায় জানিয়ে রাজ্যে পদ্মফুল ফোটাতে হবে ৷ এদিন নাড্ডার বক্তব্যে আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা উঠে আসে। রাজ্য় সরকার প্রধানমন্ত্রীর জনহিতকর এই প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষকে পেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘এখানেই তৃণমূলের এই সরকারকে আটকে দিন ৷ আমরা ক্ষমতায় আসব এবং আয়ূষ্মান ভারত ফেরাব ৷’’ এদিন কাটমানি ও আমফান ইশুতেও তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ৷ তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা এলে তার বেশিরভাগটাই তৃণমূল নেতাদের কাছে চলে যায় ৷ আর সাধারণ মানুষের কপালে জোটে মাত্র কিছু ভাগ ৷এদিন ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোল মোড়ে নাড্ডা সহ অন্য় বিজেপি নেতাদের কনভয় পৌঁছাতেই রাস্তার দু’ধার থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকী কনভয়ে থাকা সবক’টি গাড়ির উপর লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয় ৷ এই ঘটনায় নাড্ডার গাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি ৷ তবে রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, রাহুল সিনহা সহ একাধিক শীর্ষ নেতার গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় ৷