ভোট পরবর্তী হিংসার নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বিজেপি নেতারা। রাজভবনের বারান্দায় রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁদের। বৈঠক শেষে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ধনকড়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ”বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না। মানুষ রায় দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন তার কাজ করছে না। বরং প্রশাসনিক কর্তারা আগুন নিয়ে খেলছেন। লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। অথচ এক বারের জন্যও সেই জায়গাগুলিতে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী। লাগাতার হিংসা সত্ত্বেও নীরব রয়েছে প্রশাসন। তিনি এও বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরেরও প্রধান। সংবিধানে হাত রেখে শপথ নিয়েছেন। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ওঁকে। আইন মেনে কাজ করতে হবে।”রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ সেরে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, ”যদি কেউ ভেবে থাকেন ক্ষমতার দম্ভে বাংলায় বিরোধীদের খতম করবেন, তা হলে ভুল করবেন। ভোট মিটে যাওয়ার এক মাস ১২ দিন পরেও ১৭ হাজারেরও বিশে বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। ব্যবস্থা নিতে হবে। ২ মে-র পর ৩ হাজারের বেশি ভুয়ো মামলা হয়েছে বিজেপি-র কর্মীদের বিরুদ্ধে। আমি এ নিয়ে আদালতে যাব। এ ভাবে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না।” এদিন ভোট পরবর্তী হিংসার নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের সঙ্গে রাজভবনের খোলা বারান্দায় বৈঠক করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ ভাবে রাজ্যের বিরোধী শিবিরের সঙ্গে খোলা বারান্দায় বৈঠকের ঘটনা বেনজির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।