‘হানিট্র্যাপ’ নিয়ে উত্তাল কর্নাটকের রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার সকালেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল কর্নাটকের এক মন্ত্রী হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। দিনের শেষে সেই গুঞ্জন বড় মাপের বিতর্কের রূপ নিয়েছে। কর্নাটক বিধানসভায় সেখানকার সমবায়মন্ত্রী কে এন রাজন্ন দাবি করেছেন, প্রায় ৪৮ জন রাজনৈতিক নেতাকে এই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। যার মধ্যে নয়াদিল্লির কয়েকজন নেতাও আছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, বিষয়টি কোনও একটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সব দলের নেতারাই এর শিকার হয়েছেন। তাঁর এই দাবি পর, এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করতে চলেছে কর্নাটক সরকার। এ দিন বিধানসভায় কে এন রাজন্ন বলেন, ‘আমার কাছে যে তথ্য রয়েছে, তা অনুসারে এই সিডি এবং পেনড্রাইভের শিকার একজন বা দু’জন নন, প্রায় ৪৮ জন। আর আমি শুধুমাত্র আমার দলের লোকদের কথা বলছি না, তারাও এতে জড়িত (বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি)। মাননীয় অধ্যক্ষ, অনেকেই কর্নাটককে সিডি এবং পেন ড্রাইভ তৈরির কারখানা বলে। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ। খবরে বলা হচ্ছে, তুমাকুরুর দুই শক্তিশালী মন্ত্রী হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। তুমাকুরুর একজন মন্ত্রী আমি এবং অন্যজন ড. পরমেশ্বর। অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এখানে আমার জবাব দেওয়া যথাযথ হবে না।’ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাজন্ন। হানিট্র্য়াপকে তিনি একটি ‘রোগ’ বলেছেন এবং এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। কারা এই ভিডিয়োগুলির প্রযোজক, কারা পরিচালক, কারা এর সঙ্গে জড়িত…, জনগণের তা জানা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। জবাবে জি পরমেশ্বর জানান, এই ঘটনা বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যের জন্য উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, ‘আমাদের এর সম্পূর্ণ অবসান ঘটাতে হবে। এই সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আছেন। তাই আমাদের এই সভার এবং তার সদস্যদের সম্মান রক্ষা করতে হবে। রাজন্নর অভিযোগের ভিত্তিতে, আমি একটি উচ্চ-স্তরের তদন্তের নির্দেশ দেব।’
