কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হল বুধবার। আর এই দিনেই রাজ্যে বড় প্রকল্পের সূচনা হল। বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’ চালু করল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারের মহিলা প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে ২ হাজার টাকা করে ঢুকবে। এদিন মুসৌরিতে গৃহলক্ষ্মী যোজনার সূচনা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। রাজ্যে সরকার গঠনের একশো দিনের মধ্যেই সেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে দিল কংগ্রেস সরকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কথায়, ‘কংগ্রেস যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা পূরণও করে। কংগ্রেস ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেয় না।’ রাখি বন্ধনের দিনে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের সূচনা করতে পেরে খুশি তিনি, জানিয়েছেন রাহুল। কর্ণাটকে বিজেপি সরকারকে পরাস্ত করতে কংগ্রেস দুর্নীতির ইস্যুতে ভোটে লড়েছিল। এছাড়াও পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল— গৃহলক্ষ্মী, গৃহজ্যোতি, শক্তি যোজনা, অন্নভাগ্য যোজনা এবং যুব নিধি যোজনা।গৃহজ্যোতির মাধ্যমে রাজ্যে বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ, অন্নভাগ্যের মাধ্যমে বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ১০ কেজি করে চাল, গৃহলক্ষ্মী যোজনায় পরিবারের কর্ত্রীকে মাসে ২ হাজার টাকা করে সহায়তা, যুবনিধি প্রকল্পে ১৮-২৫ বছর বয়সি যুবক-যুবতীকে স্নাতক হলে মাসে ৩ হাজার এবং ডিপ্লোমাধারীদের ১৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করে কংগ্রেস। এবং শক্তি যোজনার অন্তর্গত রাজ্যের মহিলাদের সরকারি বাসে বিনামূল্যে যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। ক্ষমতায় আসার পর সেই সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নেমেছে কংগ্রেস সরকার। কর্ণাটক জয়ে বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প, বেকার ভাতার প্রতিশ্রুতি তুরুপের তাস হয়ে ওঠে কংগ্রেসের কাছে। বিজেপিকে হারিয়ে বিশাল জয় পায় কংগ্রেস। জানা গেছে, গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের জন্য এবছর ১৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। আপাতত ১ কোটি ১১ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে সরাসরি গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের টাকা ঢুকবে। আগামী বছর প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা আরও বাড়বে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন কংগ্রেসের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, কিন্তু কংগ্রেস আজ দেখিয়ে দিয়েছে সব প্রতিশ্রুতি পূরণ সম্ভব।’ এদিন রাহুল গান্ধী বলেছেন, যে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি ছিল, তার মধ্যে চারটিই মহিলাদের জন্য। এর পিছনে রয়েছে গভীর চিন্তা। গাছের শিকড় শক্ত হলে তার কাণ্ডও মজবুত হয়। যেমন একটি গাছ শিকড় ছাড়া দাঁড়াতে পারে না, তেমনই কর্ণাটক আমাদের মা-বোনদের ছাড়া দাঁড়াতে পারে না।