জঙ্গি অনুপ্রবেশ তো ছিলই। এবার নতুন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের আনাগোনা। পাক জঙ্গিদের এই নতুন হাতিয়ারকে ছত্রাকার করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার। ঠিক হয়েছে, প্রথমে জম্মু কাশ্মীর সীমান্ত দিয়েই তার সূচনা হবে। এরপর দেশের অন্যত্র আন্তর্জাতিক সীমান্তেও একই পথে হাঁটবে কেন্দ্র। ড্রোনকে নাস্তানাবুদ করতে ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক? সূত্রের খবর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই পদ্ধতিতে সীমান্তে নজরদারি চালানো হবে। এককথায় এটি একটি অনুপ্রবেশকারী সেন্সর। এ পাশাপাশি থাকবে ফেসিয়াল ও ভয়েস রেকগনিশন, অপটিক্যাল ফাইবার যুক্ত কম্যান্ড এন্ড কন্ট্রোল পদ্ধতি, নাইট ভিশন ক্যামেরা এবং রেডারের ব্যবস্থা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী, বিএসএফ ও অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির তরফে সুনির্দিষ্ট ইনপুট পাওয়ার পরে পুরো পরিকল্পনায় গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে। এর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ স্থির হয়েছে। কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? ঘটনা হল কয়েক মাসে সীমান্ত এলাকায় সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ড্রোনের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে নতুন করে। জম্মুর বিভিন্ন জায়গায় হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। বিএসএফ সূত্রে খবর, সুরঙ্গ এবং ড্রোনের বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পরেই তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে যেমন জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাবে তেমনি নিজেদের ভূখণ্ডকে সুরক্ষিত রাখা যাবে।