কেটে গিয়েছে ৬ দিন ৷ জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় এখনও অব্যাহত সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই ৷ বৃহস্পতিবার ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে শুরু হয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় অভিযানে এখনও পর্যন্ত ৪ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে, নিকেশ ২ জঙ্গি ৷ জঙ্গিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে শনিবার সেনার তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয় ৷ সেই সঙ্গে, উদ্ধার হওয়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্ররও ছবি প্রকাশ করা হয় ৷ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ২৩ মার্চ কাঠুয়ার সানিয়াল গ্রামের হিরানগর সেক্টরে সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, নিরাপত্তাবাহিনী ও সেনার যৌথবাহিনী ৷ এলাকায় যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় জঙ্গিরা ৷ এরপর তাদের খোঁজে জেলাজুড়ে অভিযান শুরু হয় ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার রাজবাগের ঘাটি ঝুটানা এলাকার জাখোলে গ্রামে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ দীর্ঘ লড়াইয়ে ৪ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয় ৷ নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে খতম হয় ২ জঙ্গি৷ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি নলীন প্রভাত শুক্রবার জানান, মৃত পুলিশকর্মীরা হলেন, বলবীর সিং, তারিক আহমেদ, জশবন্ত সিং এবং জগবীর সিং ৷ পাশাপাশি, দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ে এক ডিএসপি-সহ নিরাপত্তাবাহিনীর মোট ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷ ডিজি’র কথায়, জঙ্গিদের নিকেশ না-করা পর্যন্ত পুলিশকর্মীরা বিশ্রাম নেবেন না ৷ এলাকায় এখনও ২ জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি ৷ ডিজি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য একটাই ৷ পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না-নেওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না ৷ পুলিশকর্মীদের বলিদান ব্যর্থ হবে না ৷” তিনি আরও জানান, ২৩ মার্চ জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে প্রথম অভিযান চালান ৫ জন পুলিশকর্মী ৷ তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা ৷ তল্লাশি চালিয়ে ৪টি কার্বাইন ম্যগাজিন, ৩টি আইইডি, ২টি গ্রেনেড এবং আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হয় ৷ এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছন ৷ সেনা ও পুলিশ সূত্রে খবর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কাঠুয়া জেলা সন্ত্রাসবাদীদের আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে ৷ এই এলাকা দিয়েই ভারতে অনুপ্রবেশ করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ৷ ২০২৪ সালে জম্মু অঞ্চলে ধারাবাহিক হামলা এবং এনকাউন্টারে ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ১৩ জন সন্ত্রাসবাদী সহ মোট ৪৪ জন নিহত হয়েছে । সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে ডোডা, কাঠুয়া এবং রিয়াসি জেলায় ন’টি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৷
