বিদেশ

হার স্বীকার সুনকের, স্টার্মারের হাত ধরে ১৪ বছর পর ফের ব্রিটেনের গদিতে লেবার

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধনে জয়লাভ করল লেবার পার্টি। ২০১০ সালের পর এই প্রথম ফের কোনও লেবার পার্টির নেতার ঠিকানা হবে ১০, ডাউনিং স্ট্রিট। আর লেবার পার্টির জয় নিশ্চিত হতেই দলের নেতা স্যার কিয়ের স্টার্মার একটি ঝড়ো বিজয় ভাষণ দেন। ভোটে জিতে স্টার্মার বলেন, ‘১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যত ফিরে পেয়েছে।’ হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘আমরা এটা করে দেখিয়েছি। আপনারাই এর জন্যে প্রচার করেছিলেন। এই জয়ের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং এখন সেই মুহূর্ত এসে গিয়েছে। সত্যি বলতে, খুবই ভাল লাগছে।’ এর আগে প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসতেই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টার্মার। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ভোটাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন। সব কিছুই ভোটারদের মাধ্যমে হয়। এই সমাজ থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হবে।’  এদিকে কনজারভেটিভ পার্টি হারলেও নর্থ ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড এবং নর্থঅ্যালার্টন আসন থেকে নিজে জিতেছেন ঋষি। নিজের আসন ধরে রাখার পরে সমর্থকদের উদ্দেশে ঋষি সুনক বলেন, ‘এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়ী হয়েছে।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই হারের পুরো দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।’ এই নির্বাচনী ফলাফলকে খুবই দুঃখজনক বলে আখ্যা দেন ঋষি। প্রসঙ্গত, ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে ১৪ বছর পরে। ২০ মাস আগেই ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২০২২ সালের দিওয়ালির সময় তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটেনের গদিতে বসেছিলেন। তবে বিগত ২০ মাসে তাঁর কাজকর্মে ব্রিটিশ ভোটাররা সেভাবে সন্তুষ্ট নন বলেই উঠে এসেছিল বিভিন্ন সমীক্ষা এবং রিপোর্টে। অন্যেদিকে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশের আগেই কনজারভেটিভদের হয়ে হার মেনে নিলেন ব্রিটেনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নর্থ ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড এবং নর্থঅ্যালার্টন আসন থেকে নিজে জিতে সমর্থকদের উদ্দেশে ঋষি সুনক বলেন, ‘এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়ী হয়েছে।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এই হারের পুরো দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।’ এই নির্বাচনী ফলাফলকে খুবই দুঃখজনক বলে আখ্যা দেন ঋষি। উল্লেখ্য, ভারতীয় সময়, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিয়ের স্টার্মারের দল লেবার পার্টি ৩০০-র বেশি আসনে জয়ী হয়েছে বা এগিয়ে আছে। আর ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি জিতেছে বা এগিয়ে আছে মাত্র ৬০টি আসনে।