কলকাতা

সেপ্টেম্বরে বাংলার ১০০ দিনের কাজ ‘খেলা হবে’ প্রকল্প জন্য নাম নথিভুক্ত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে

দীর্ঘদিন ধরে বাংলার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদির সরকার। এই প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকার পরিমাণ ৭ হাজার ২৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। এই টাকা ছেড়ে দিতে রাজ্যের তরফে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কেন্দ্রের সরকারকে বহু অনুরোধ-উপরোধ করা হয়েছে। এমনকি রাজনীতির মঞ্চ থেকে তৃণমূলের তরফে হুঙ্কারও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা খরচ করে ১০০ দিনের কাজের জব কার্ডধারীদের কাজ দেওয়া হবে। সেই প্রকল্পের নাম হবে ‘খেলা হবে’। এখন নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে যারা ১০০ দিনের কাজ চান তাঁদের নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে আগামী ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে। বছরে দুইবার দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করে নবান্ন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা হয়েছিল মে এবং নভেম্বর মাসে। এবছর গত এপ্রিল মাসে ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজিত হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তম দুয়ারে সরকার শিবির বসতে চলেছে পুজোর আগেই সেপ্টেম্বর মাসে। আর সেই কর্মসূচীতে এবার প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে ‘খেলা হবে’ প্রকল্প। যারা যারা এই প্রকল্পের অধীনে কাজ চান তাঁদের এই কর্মসূচীতে গিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে জব কার্ড থাকা মানুষকে কাজ দেওয়া হচ্ছে। তাতে ইতিমধ্যে গড়ে ২৬ দিনের কাজ পেয়েছেন অন্তত ৬৪ লক্ষ কার্ডধারী। এবার ১০০ দিনের কাজের অধীনে থাকা রাজ্যের আড়াই কোটি শ্রমিককেই এই তালিকায় জুড়তে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী। এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন জব কার্ডধারী অদক্ষ শ্রমিকরা। সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগেই, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী আয়োজত হবে সেখানে নূন্যতম ৩ কোটির বেশি মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টার্গেট ধার্য করেই পরবর্তী দুয়ারে সরকার শিবির আয়োজনের রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। পুজোর আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু, ভবিষৎ ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি প্রকল্পের সুবিধা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগস্ট মাসে ‘শিল্পে সমাধানে’ শিবির চলবে। অক্টোবরের শেষে পুজো। তাই সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরেই হবে দুয়ারে সরকার। আর পুজোর আগে শেষ করা হবে পরিষেবা প্রদানের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ‘খেলা হবে’ প্রকল্পকে দুয়ারে সরকার শিবিরে যোগ করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। শেষ দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং জাতিগত শংসাপত্রের জন্য। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘খেলা হবে’ প্রকল্প সংযোজিত হলে তার আবেদনের সংখ্যা অন্য যাবতীয় প্রকল্পকে ছাপিয়ে যেতে পারে।