গত বছরের মতোই এবার কোভিড রীতি মেনে পুজো করার উপর জোড় দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার কলামন্দিরে কলকাতার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেন লালবাজারের কর্তারা। আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। পুজোর উৎসবে যাতে মণ্ডপ চত্বরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টর মতো দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যুক্ত ইলেকট্রিসিয়ানদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করছে সিইএসসি। বোঝানো হচ্ছে, কীভাবে বিদ্যুতের তারের বিন্যাস করতে হবে। পুজোয় বৃষ্টি হলেও এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো দুর্ঘটনা না ঘটে। অগ্নিকাণ্ড রুখতেও পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। সারা বছর এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে দমকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। পুজো কমিটিগুলির অনুরোধ, পুজোয় বৃষ্টির ফলে জল জমে যাতে বিপর্যয় না হয়, তার জন্য পুরসভা ও পুলিশ যেন ব্যবস্থা নেয়। বৈঠকে পুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়, শেষ মুহূর্তে মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ করতে রাত বারোটাও বেজে যাচ্ছে শ্রমিকদের। যেহেতু এখন রাত এগারোটার পর নাইট কার্ফু চলছে, তাই রাতে বাড়ির ফেরার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। পুজো কমিটির অনুরোধ মেনেই পুলিশ কমিশনার থানার ওসিদের শ্রমিকদের জন্য ‘নাইট পাস’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। পুজো উদ্যোক্তাদের দেওয়া নির্দেশিকায় পুলিশ জানিয়েছে, যথেষ্ট খোলামেলা মণ্ডপ বানাতে হবে। মণ্ডপের ছাদ অথবা তার চারপাশের জায়গা খোলা রাখতে হবে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ আলাদা রাখতে হবে। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে। দর্শনার্থীরা যাতে অবশ্যই মাস্ক পরেন, সেদিকে নজর রাখবেন মাস্ক ও ফেস শিল্ড পরা স্বেচ্ছাসেবকরা। একটি ক্লাব পুলিশকে জানিয়েছে, মণ্ডপ লাগোয়া রাস্তা অপরিসর ও তাতে পুজোর ভিড়ও হয়। তাই অনেক সময় মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা সম্ভব হয় না। এদিন পুলিশ কমিশনার জানান, গত কয়েক বছর যে পুলিশকর্মীরা ডিউটি করেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেকেই আর নেই। সকলে সতর্কতা অবলম্বন করেই পুজো করবেন।