কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ । এদিন দুপুরে ব্যারাকপুরে ছেলের বাড়িতে রবীন্দ্র ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সাক্ষাৎ হয় । প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দু’জনের মধ্যে কথা হয় । সেই সাক্ষাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন । এদিন কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই । আর কোনও পর্যবেক্ষক সরকারের সংবিধান বদলের এক্তিয়ার নেই । রবীন্দ্র ঘোষ আরও জানান, ইতিমধ্যেই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন । চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন । একইভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও আরও ভালোভাবে বিষয়টি বলার জন্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে সে দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থার কথা জানাতে চান ৷ সে জন্যই তিনি কুণাল ঘোষের সাহায্য চেয়েছেন বলে জানান রবীন্দ্র ঘোষ । এদিন কুণাল ঘোষ বলেন যে, রবীন্দ্র ঘোষের যে ইচ্ছা তা তিনি পূরণ করার চেষ্টা করবেন । কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বিদেশমন্ত্রকের অধীনে থাকা একটা বিষয় । এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি । কারণ এ বিষয়ে যা করণীয় কেন্দ্রই করবে । তবে চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে যা করার তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন কুণাল । এদিন চিন্ময় প্রভুর জামিনের বিষয় নিয়ে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “চিন্ময় প্রভুর জামিনের বিষয়টি অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করছে । আমি আগেও বলেছিলাম, আমার ওইদিন যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে । কিন্তু আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি রয়ে গিয়েছি । তবে এখনও আমার যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে ।” ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “দুই দেশের মধ্যে আমাদের বরাবরই খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকেছে । বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে । আমরা একে অপরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করব, এটাই আমাদের মূল কথা । বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যেভাবে নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছেন, সেটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে । আমরা আশা করছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতা পাব ।”