নারদ মামলায় আজ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ৷ সেই চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল ৷ দলের মুখপাত্র সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রশ্ন তুললেন, নারদ মামলার চার্জশিটে কেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই ? এদিন ইডি-র তরফে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনের নাম রয়েছে ৷ সেই পাঁচজন হলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা ৷ তা দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, নারদ মামলায় চার্জশিট পেশে ইডি পক্ষপাতিত্ব করেছে ৷ প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের প্রত্যেককেই গোপন ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর ছবিও দেখা গিয়েছিল ৷ সেই প্রসঙ্গ টেনেই প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ ৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে নারদে জড়িত থাকার অভিযোগ যখন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ওঠে, সেই সময় তিনি তমলুকের সাংসদ ৷ পরে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে জিতে বিধায়ক হন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেন ৷ কিন্তু এখন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে৷ তাই শুভেন্দুর নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ ৷ তাঁর দাবি, বিজেপি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে ৷ একদিকে লড়াকু প্রতিপক্ষদের অপদস্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে ৷ অন্যদিকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের রক্ষা করা হচ্ছে ৷ এটা দ্বিচারিতা ৷ উল্লেখ্য, গত শনিবার ইডি নোটিস দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ আজ, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি ৷ বরং করোনা পরিস্থিতি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন৷ ইডিকে তাঁর বাড়িতে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন চিঠিতে ৷ শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই বলে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করলেও এদিন আদালতে ইডির এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, অপরূপা পোদ্দার, সৌগত রায়, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার সহ একাধিক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমান্তরাল ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাবে তারা ৷