কলকাতা

২০৩৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: কুনাল ঘোষ

২০৩৬-এ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। এমনটাই দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের TMC 3.0 সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে ও সাংবাদিক বৈঠক বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেকের নাম ঘোষণা করলেন যেন কুণাল। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতা আসেন বাংলার অগ্নিকন্যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার অর্থাৎ এদিনই, সেই সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি। অর্থাৎ মা-মাটি-মানুষের সরকারের তৃতীয় দফার সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি। আর এদিনেই কিনা ফেসবুকে সুদীর্ঘ ও বিস্ফোরক এক পোস্ট করে দলকে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দল যখন তাল ঠুকছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি দখলের জন্য, দেশ যখন প্রহর গুণছে বিজেপি ও মোদিকে পরাস্ত করে মমতার হাতে দেশের ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য, ঠিক তখনই কুণাল বিস্ফোরক হলেন। নিজের পোস্টে জানিয়ে দিলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।’ অর্থাৎ পক্ষান্তরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল এদিন তাঁর পোস্টে অনেক কথাই লিখেছেন। বলেছেন, ‘আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও জয়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ, কর্মযজ্ঞ চলছে । ৯৯% কাজ ভালো। ১%  ভুল থাকলে ব্যবস্থা হচ্ছে এবং হবে। যে কর্মী, সমর্থক, সংগঠকরা ২০২১-এর চরম ঝুঁকির যুদ্ধে জান কবুল লড়াই দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকারবোধ সত্যিই স্বতন্ত্র। দলে রাজনৈতিক সচেতনতাটাকেই অগ্রাধিকার দিন। দেওয়া হয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য মুষ্টিমেয়র মধ্যে যদি ব্যক্তিসমীকরণের প্রশাসনিক লাভক্ষতির হিসেব অগ্রাধিকার পায়, তবে তা বর্জ্যনীয়। আর সতর্ক থাকুন, চারপাশে কারা আসছে, তারা কারা, কী চায়। এই সতর্কতার ছাঁকনি যে কোনও ক্ষমতাসীন দলে জরুরি, তৃণমূলেও জরুরি এবং তৃণমূল নজর রাখছে বলেই বারবার তিনবার মানুষ আশীর্বাদ করছেন।’ তারপরেই তিনি লিখেছেন, ‘মাথার ওপর দিদি, লিডার, দলের প্রাণ, মুখ, শেষ কথা। রয়েছেন তরুণতুর্কী, ক্যাপ্টেন অভিষেক। এবং রয়েছেন নেতা, কর্মী, সমর্থক, দরদীর তৃণমূল পরিবার। উপসংহার একটাই। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) ভরসা।’ কুণাল মমতাকে যতই কুর্ণিশ আর অভিষেককে যতই শুভেচ্ছা জানাক না কেন নিজের পোস্টে কুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখা যাবে না দিল্লিতে।