স্থানীয় পোলিং এজেন্টের নিয়ম ফেরানো হোক, সরব তৃণমূল
সকালে বিজেপি বার করলো এমন এক অডিও যেখানে দাবি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন দলেরই প্রাক্তন কর্মী প্রলয় পালকে। আর্জি রেখেছিলেন তাঁর কাছে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাবার জন্য। যদিও সেই আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া প্রলয়। সেই ঘটনার পরে এদিন বিকালে কুণাল ঘোষ অপর একটি অডিও ফাঁস করলেন যেখানে মুকুল রায়কে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়াকে যেখানে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন বুথে এজেন্ট বসানোর নিয়মে পরিবর্তন না করলে বিজেপি অর্ধেক বুথে এজেন্টই দিতে পারবে না। ঘটনাচক্রে নির্বাচন কমিশনও সর্বদল বৈঠকে এনিয়ে কোনও আলোচনা না করেই বুথে এজেন্ট বসানোর নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে। এবার কুণালের এই অডিও ফাঁস হতে কার্যত প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল বিজেপি-কমিশন যোগ। এদিন বিকালে কুণাল ঘোষ একটি অডিও ক্লিপ তুলে দেন সংবাদমাধ্যমের হাতে। তাঁর দাবি, ওই অডিও ক্লিপে যে দুইজনের গলা শোনা গিয়েছে তাঁদের একজন মুকুল রায় অপরজন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। কুণালের দাবি, ওই কথোপকথনে মুকুল রায় শিশির বাজোরিয়াকে বলেছেন নির্বাচন কমিশন বুথে এজেন্ট হওয়ার নিয়ম পরিবর্তন না করলে বিজেপি অর্ধেক বুথে এজেন্টই বসাতে পারবে না। এরপরেই কুণাল মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে নির্বাচন কমিশন কার্যত সর্বদল বৈঠকে কোনও কিছু না জানিয়ে এখন হুট করে বিধি বদলে জানিয়ে দিয়েছে এলাকার বাসিন্দা না হলেও যে কেউ বুথে যে কোনও রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হতে পারবে। কার্যত এই নিয়মের জেরেই এদিন রাজ্যের যে ৩০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে সেখানকার বেশ কিছু বুথে বহিরাগতদের দাপাদাপি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কুণাল কার্যত এই তথ্য তুলে ধরে এই দাবিই করতে চেয়েছেন যে বিজেপির কথামতো বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বুথের এজেন্ট হওয়ার নিয়মে রাতারাতি পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাত্ বিজেপির কথামতো কাজ করে চলেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেটাও পর্দার আড়ালে। আর এই কারনেই এখন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই উঠে গেল প্রশ্ন। পাশাপাশি কুণাল এদিন এটাও দাবি করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেত্রী হিসাবে দলের পুরাতন কোনও কর্মীকে ফোন করতেই পারেন। কিন্তু যেভাবে তা সামনে আনা হল তা স্টহিক নয়। তবে বিজেপি যা করেছে তার জেরেই এবার তৃণমূলও এমন কিছু ছবি, ভিডিও, ফুটেজ সামনে আনবে যেখানে দেখা যাবে বিজেপির নেতারা তৃণমূলে আসতে চেয়ে বা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে আবারও ফের ফিরে আসতে চেয়ে কে কেমন হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে। কুণালের দাবি, রাজনৈতিক সৌজন্যতাকে যেভাবে ব্যবহার করেছে তা চূড়ান্তভাবে নিন্দানীয়। তবে এবার তৃণমূলও আর রাজনৈতিক সৌজন্যের ধার ধারবে না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘বাইরে থেকে পোলিং এজেন্ট এলে পরিচয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে ৷ সৌহর্দ্যের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে ৷’’ এই বিষয়ে কমিশনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুদীপবাবু ৷ এদিকে, একই বিষয়ে বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ৷ সুব্রতবাবুর অভিযোগ, বিজেপির জনসমর্থন নেই রাজ্যে ৷ সব বিধানসভার সমস্ত বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারছে না ৷ এই কারণে বাইরে থেকে পোলিং এজেন্ট আনবে বলে কমিশনকে দিয়ে নতুন নিয়মে আনিয়েছে ৷