কলকাতা

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তথ্যের ভিত্তিতে লাগু লক্ষীর ভাণ্ডার

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান অস্ত্র ছিল মূল অস্ত্র ছিল বাড়ির মহিলারা। যারা রাঁধে তারা চুলও বাঁধে, সেই মহিলাদের নিয়েই বারবার বক্তব্য রেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কখনও হাতা-খুন্তি নিয়ে বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে যেতে বলা কিংবা সিআরপিএফদের অত্যাচারের প্রতিবাদ করা, সবটাই সভা মঞ্চ থেকে বাংলার মেয়েদের ও বোনেদের ও গৃহকর্তীদের জন্যই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতোই বাংলার গৃহবধূদের জন্য নির্বাচনী ইস্তেহারে একটি প্রতিশ্রুতি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘লক্ষীর ভাণ্ডার’, সাধারণ বাড়ির গৃহবধূরা মাসে ৫০০ টাকা ও তপশিলি জাতি ও উপজাতির গৃহবধূদের ১০০০ টাকা করে হাত খরচের টাকা দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনে জিতেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরনের জন্য বাজেটে চলতি অর্থবর্ষে দশ হাজার কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এই প্রকল্প রাজ্যে চালু হবে। প্রাথমিক ভাবে দেড় কোটি মহিলাকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্যে। এই কাজে তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বাড়ির মহিলাদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আর সেই তথ্য দিয়েই প্রাথমিক ভাবে দেড় কোটি গৃহবধূদের করা হবে আর্থিক সাহায্য। তবে যারা ইতিমধ্যেই বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন তারা এই আর্থিক সাহায্য পাবেন না। এই প্রকল্পে সুবিধা-প্রাপকের তালিকা পঞ্চায়েত বা পুরসভা নয়, সরাসরি সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশুবিকাশ দফতরকে তৈরি করতে বলা হয়েছে। যেখানে কোনও প্রভাব খাটানো যাবে না এমনকি এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসন পুরসভা, পঞ্চায়েত-সহ কোনও স্তরের জনপ্রতিনিধির সুপারিশ গ্রাহ্য করা হবে না।